নবীগঞ্জে একই মসজিদের দুটি নাম

0
854


নূরুজ্জামান ফারুকী ,নবীগঞ্জ: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ বাজার জামে-মসজিদটি আমার পরিবারের দানকৃত জায়গায় অবস্থিত। মসজিটির ভুমির মালিক আমি ও আমার পরিবার। বর্তমান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান গংরা এই মসজিদকে পুজি করে লন্ডন প্রবাসীদের কাছ থেকে লাখ টাকা বাণিজ্য শুরু করেছে। ইনাতগঞ্জ বাজার জামে-মসজিদ অর্থলোভী ও ভুমিখেকুদের হাত থেকে রক্ষা করতে দীর্ঘদিন ধরে আমিও আমার পরিবার কাজ করছি। এনিয়ে একাধিক শালিশ বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা ইনাতগঞ্জবাসী অবগত আছেন। এতে করে মসজিদ নিয়ে আমিনুর রহমান গংরা দুর্নীতি করে লন্ডন প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চিত্র আমরা দেখতে পেলে বিরোধ বাধে। জোরজবরদস্তি ,ক্ষমতার অপব্যবহার করে লন্ডন প্রবাসীর কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইনাতগঞ্জ বাজার জামেমসজিদের নাম পরিবর্তন ও ভুমিদাতা পরিবারের নাম বাদ দিয়ে নামফলকে সালেহা জামেমসজিদ লিখা হয়। যা শুধু নামেই আছে, কাগজে কলমে নেই। ভুমিদাতা পরিবার সব সময় সামাজিক বিচার সহ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমিনুর রহমান গংরা জুলুমবাজ, মিথ্যাচার, টাকা ও শক্তির উপর নির্ভশীল। আল্লাহর ঘরকে সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা করতে সকলের বিবেক থেকে সহযোগিতা চাই। ইনাতগঞ্জ সালেহা জামে মসজিদ নামে কাগজে কলমে কোনো মসজিদ নেই। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কাগজে কলমে কমিটি ১৯৮৮ ইং সালে ভুমিদাতা পরিবারের অজান্তে গোপন করে কিছু অর্থলোভি স্বার্থনীশি ব্যাক্তিরা রেজুলেশন করে দানশীল বেগম আরজান আলী নাম অনুসারে মসজিদের নাম করণের সিদ্ধান্ত নিয়ে দানশীল লন্ডন প্রবাসী সালেহা বেগমের কাছ থেকে তৎকালিন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মরহুম কারী আব্দুর রহিম সাহেব সহ কয়েক জন মিলে মসজিদ টি পূর্ণ নির্মান করার জন্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা আনা হয়েছে যা পত্রিকা থেকে আসল রহস্য উদঘাটন হয়েছে। বাস্তবে সেই সময়ে মসজিদে ব্যায় হয়েছে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। তাহলে বাকি টাকা কার পকেটে? তৎকালীন কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর থাকলেও তিনি বিষয়টি জানতেন না। পরবর্তীতে তিনি তাদের কথা অনুযায়ী মিথ্যার আশ্রয় না নিলে তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সহসভাপতি মরহুম তোয়াছিদ উল্যা জীবত থাকাকালীন ও যুগ্ন সম্পাদক হিরণ মিয়া এখনো জীবিত তবে তাদের ১৯৮৮ সালের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেই কেন?? ভুমিদাতা পরিবার ছাড়া কি কমিটি হয়? মিথ্যাচার করে ভুমিদাতার ঐতিহ্য বিলুপ্ত করে মানুষ কে মিথ্যাচার করে অপপ্রচার খরিদা সুত্রে মালিক। কিন্তু কাগজ পত্রে দেখা যায় মসজিদের আশে পাশে এস এ দাগের ৩০/৩১/৩২/৩৩/৩৪/৩৫/৩৬ /৩২৭ দাগের ভুমি আমার দাদা ওয়াহাব উল্যার দখলীকৃত ভুমি। দাদা মরহুম ওয়াহাব উল্যাহ নিজ বাড়ির সামনে নিজ ভুমির উপর বাজারে আসা যাওয়া মুসল্লীদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে এলাকার প্রবীণ মুরুব্বীয়ানদের নিয়ে বাঁশ পালা দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ নামে( ১৩১৭) বাংলা প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে এলাকার মানুষের অর্থায়নে বিল্ডিং করা হয়। কালের সাক্ষী হিসেবে মিনারটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। পরবর্তীতে আমার পিতা মৃত ইব্রাহিম উল্যাহকে মসজিদটি বড় করার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়ে ১৯৮৯ সালে ৩৩ নম্বর দলিল মুলে ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ নামে ১৮ শতাংশ ভুমি ওয়াকফ করে দেন। কিন্তু ১৯৮৮ ইং সালের রেজুলেশন ও ১৯৯৩ সালে সেটেলমেন্ট জরিপে কেন ইনাতগঞ্জ সালেহা জামে মসজিদ নামে রেকর্ড হল না?? সেই রহস্য উদঘাটন করতে আমি ১৯৯৭ ইং সাল থেকে ইনাতগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করি। এতে একটা গোষ্ঠী তাদের অপকর্ম লুকিয়ে রাখতে আমার পরিবারসহ আত্বীয় স্বজনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। প্রতিবাদ থেকে সরে যাইনি । ২০০৫ ইং সালে শুত্রবার নামাজ শেষে আমরাসহ আমাদের আত্মীয় স্বজনের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়েও মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। ভুমিদাতা মোশাহীদ আলী বাদী হয়ে কমিটির বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন সেই মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় ২০০৯ সালে আল্লাহর ঘর মসজিদের স্বার্থে আমার উদ্যোগে শত সাপেক্ষে আপোষ নিমাংশা করে দেই। সামাজিক ভাবে অনেক রায় হলেও বাস্তবায়ন না করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে হুমকি দামকি দিয়ে আসছে। বাজারের মসজিদ নিয়ে গ্রামে কতিপয় কিছু ব্যাক্তিরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বৈঠক করছে তার রহস্য কি? ১৯৮৮ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক এর ভাতিজা বর্তমান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে প্রকৃত ভুমিদাতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে । ১৮-০৬-২০১৯ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ থানার ওসি, ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দসহ উপজেলার বিশিষ্ট শালিস বিচারক নিয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে বিশাল শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে বিচারক মন্ডলী থেকে ৯ বিশিষ্ট সদস্য বোর্ডে ছিলেন নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেন, ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামছুদ্দিন খান, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ পাঠান, সাবেক চেয়ারম্যান মসুদ আহমেদ জিহাদী,, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ছুবা, উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আবুল খয়ের, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠুসহ কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জন সম্মুখে রায় ঘোষণা করেন ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের ভুমিদাতা