নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

0
1255
নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ
নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কার্ড লুকোচুরি করে ভাতার টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে । শুধু তাই নয়,এক বছর সুবিধাভোগীর ভাতার কার্ড গোপন করে সেই টাকা উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন।

উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ফটিক মিয়ার স্ত্রী দোলনা বেগম নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে দোলনা বেগম উল্লেখ করেন, করগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে গত এক বছর ধরে ভাতার কার্ড নিজের কাছে রেখে গোপনে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
সুবিধা ভোগী প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব খুঁজে পাচ্ছি না বলে বারবার তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কিছুদিন আগে নানা চাপের মুখে পরে তার কাছে ভাতার কার্ড দেন তারপর তিনি ২ হাজার ২ শত ৫০ টাকা উত্তোলন করেন।

একপর্যায়ে আশেপাশে মানুষকে ভাতা কার্ড দেখালে দেখা যায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪ শত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাই নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমানে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এরপরও বিষয়টি তদন্তের জন্য সমাজসেবা অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ভাতর কার্ড বিতরণের দায়িত্বে সমাজসেবা অফিসার এবং অর্থ দিয়ে থাকে ব্যাংক এতে আমার কোন হাত নেই। ইউনিয়ন পরিষদে আমি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দেখতে পাই তারপর দোলনা বেগমের কাছে দেই ভাতা কার্ডটি ।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুয়েব চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা আমার পূর্বের অফিসার বারিন্দ চন্দ্র রায় ছিলেন তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। আমি শুনছি এই বিষয় নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এদিকে প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় এলাকা জুড়ে মুখরোচক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে৷ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী৷