দশ দিনেও এসিড নিক্ষেপের মামলা গ্রহন করেনি থানা

    0
    249

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১৬নভেম্বর,শাব্বির এলাহীজমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক বাঙ্গালী তাঁতীর গায়ে এসিড নিক্ষেপ ঘটনায় দশ দিনেও থানা মামলাটি গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ করেনে এসিডদগ্ধ তাঁতী। ৬ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল ভূমিহীন গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এসিডদগ্ধ তাঁতী  ইয়াছিন মিয়া(৩৭) অভিযোগ করে বলেছিলেন, তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সরকারী খাস জমিতে ভূমিহীন হিসাবে বসবাস করছেন। ভানুবিল ভূমিহীন গ্রামে বসবাস করে মণিপুরী তাঁতবস্ত্র তৈরী করতেন। একই গ্রামের ওয়াহেদ মিয়া(৫০) ও তার ছেলে রুবেল মিয়া(২২) ভোগ দখলকৃত সরকারী এ ভূমি জবর দখল করতে কয়েকবার হামলা চালিয়েছে।

    বছর খানেক আগে এ চক্রটি তার স্ত্রী লায়লা বেগমকে মারধর করে আহত করেছিল। এ নিয়ে ওয়াহেদ মিয়াদের সাথে একাদিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলো প্রত্যাহার না করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। ৬ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় প্রাকৃতিক কারণে তিনি(ইয়াছিন মিয়া) ঘরের বাইরে বের হলে ওয়াহেদ মিয়া, ছেলে রুবেল মিয়া এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও দশদিন অতিবাহিত হলেও কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করেনি। উল্টো এসিড নিক্ষেপকারী চক্র তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁতী ইয়াছিনের সাথে ওয়াহেদ মিয়া চক্রের বিরোধ ও মামলা চলছিল।

    আলোচনাক্রমে এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি উভয়পক্ষকে ডেকেছিলেন। তবে ওয়াহেদ মিয়া এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন এসিডদগ্ধ ইয়াছিন মিয়া খুবই নিরিহ ও অসহায়। অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ওয়াহেদ মিয়াকে পাওয়া যায়নি। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিহার রঞ্জন নাথ অভিযোগটি মামলা হিসাবে গ্রহন করা হবে।  তার আগে এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে তাঁতী ইয়াছিন মিয়ার পূর্বে করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আকরাম হোসেন এসিড নিক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীরা দুষ্ঠ প্রকৃতির। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।