জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে রেজাউর রহমান সুমনকে চান তৃণমূল

0
422
জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে রেজাউর রহমান সুমনকে চান তৃণমূল
জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে রেজাউর রহমান সুমনকে চান তৃণমূল


মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের এ সম্মেলন ও নতুন কমিটির সভাপতিপদকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতাকে সভাপতি নির্বাচিত করতে চান। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন সময় এ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে জীবন বৃওান্ত আহ্বান করায় পদপ্রত্যাশীরা তাদের জীবনবৃওান্ত জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খুবই উজ্জীবিত।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বরত উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা এ তথ্য নিশ্চত করেছেন। তিনি বলেন, জেলা যুবলীগের সম্মেলনের আয়োজন করে নতুন সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে অভিষিক্ত নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে। এ জন্য জীবনবৃওান্ত যাচাই-বাছাই করে ত্যাগী, যোগ্যতাসম্পন্ন, মেধাবী নেতৃত্ব খুঁজে বের করা হচ
এর আগে ২০১৭ সালের ৪ মে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলনে নাহিদ আহমদকে সভাপতি এবং সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, জেলা যুবলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে গত দুবছর আগে। এ অবস্থায় কেন্দ্র ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮ ও ১৯ মে দুদিন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রধান কার্যালয়ের দপ্তর শাখায় মৌলভীবাজারের ১৯জন নেতা তাদের জীবনবৃওান্ত জমা দেন। জেলা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি নাহিদ আহমদ প্রার্থী না হলেও সভাপতি পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০ জন নেতাকর্মী তাদের জীবনবৃওান্ত জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনসহ জীবনবৃওান্ত জমা দিয়েছেন একই কমিটির সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন চৌধুরী ফহিম ও মুজিবুর রহমান মুজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রুমেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মবশ্বির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিন ও যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান, এবং জেলা যুবলীগের সৈয়দ সেলিম হক ও পান্না দত্ত। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু, হোসেন মো. ওয়াহিদ সৈকত ও গৌছউদ্দিন নিক্সন, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজিব, অর্থ সম্পাদক সন্দীপ দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক তুষার আহমদ, সহ-সম্পাদক সাদমান সাকিব চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রনি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি, যুবলীগ নেতা সৈয়দ নাজমুল।
এরপড় থেকে কে হবে জেলা যুবলীগের সভাপতি এ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে উঠছে উদ্বেগ, চলছে আলোচনা। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে জেলার সভাপতি পদে দেখতে চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। এতে তৃণমূল থেকে বার বার নাম উঠে আসছে জেলা যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সমাজ সেবক ও কর্মীবান্ধব নেতা সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন এর নাম। দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের প্রিয়মূখ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন বর্তমান জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারের সম্মেলনে তৃণমূলের রায়ে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাকে ঘিরেই এখন একাট্টা হচ্ছেন জেলার সাত উপজেলার নেতাকর্মীরা। আসছে সম্মেলনে কর্মীবান্ধব এ নেতাকে সভাপতি করার লক্ষ্যে জেলার নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকও সরব রয়েছে তাঁর প্রচারণায়। এ জেলার বেশির ভাগ নেতাকর্মীই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন কে সভাপতি হিসেবে পদায়নের জন্য মতামত ব্যক্ত করছেন।
মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জেলা যুবলীগের বর্তমান বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পথচারীসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। বর্তমানে দলের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দলের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা, আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। তাই আসন্ন মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলনে জেলা ও উপজেলার তৃনমুলের সকল নেতাকর্মীরা সভাপতি হিসেবে তাকেই দেখতে চায়।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আশফাক তানভীর বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের দাবি, দলকে সুসংগঠিত করতে হলে সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনের মতো একজন দক্ষ, পরিচ্ছন্ন ও কর্মীবান্ধব যুবনেতাকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করতে হবে। কারণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় তিনি জেলার ৬৭টি ইউনিয়ন ও ৭টি উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সবসময় খোঁজখবর রেখে দলকে সুসংগঠিত করার তাগিদ দিতেন। এখন সম্মেলনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে যুবলীগ আরো শক্তিশালী ও গতিশীল হবে।
তৃণমূলের আরেক নেতা সাইদুল বাছিত সাহেদ বলেন, জেলার সাত উপজেলার নেতাকর্মীদের একই আওয়াজ, সভাপতি হিসেবে সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনের বিকল্প কাউকে চাই না।
এ ব্যাপারে সভাপতি পদপ্রত্যাশী জেলা যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, সরকারের দুঃসময়ের রাজপথের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলাম। বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে আছি। করোনাসহ বিভিন্ন দূর্যোগের সময় যুবলীগের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছি। যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করেছি এখন দল আমার কর্মযজ্ঞকে মূল্যায়িত করে সভাপতি পদে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here