জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশনে শহীদ রুমী স্কোয়াড

    0
    451

    Rumi squad॥ মকবুল হাসান ইমরান ॥            

    জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলনকারী সংগঠন শহীদ রুমী স্কোয়াডের নেতাকর্মীরা।
    মঙ্গলবার বিকেলে গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণজাগরণ মঞ্চের পাশে জাতীয় যাদুঘরের সামনে অনশনে বসেন এ সংগঠনটির ৭ নেতাকর্মী।
    অনশনকারীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদাত হাসান নিলয়, মেহেদী হাসান শুভ্র, জয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ, ঢাকা কলেজের আনন্দ, রুবায়াৎ ও কর্মজীবী মানিক।
    অনশনকারীদের মধ্য থেকে মেহেদী হাসান শুভ্র বলেন, “মঞ্চের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমরা সম্পূরক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।”
    তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অহিংস উপায়ে আরও তীব্র এবং কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি।”
    শহীদ রুমী স্কোয়াডের কর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী সেঁজুতি সানিমা নদী জানান, “এ সংগঠনের মূল উদ্যোক্তা সাদাত হাসান নিলয় ভাইয়া ও তার আরও কয়েকজন বন্ধু।
    গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলন শুরু হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড’ নামে একটি গ্রুপ খোলা হয়। আমি ঐ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভাইয়াদের সঙ্গে কাজ শুরু করি।”
    সেঁজুতি আরও বলেন, “আন্দোলন শুরু হওয়ার পর শহীদ জননী জাহানারা ইমামের যে বিশাল পোট্রেট স্থাপন করা হয়েছিল তা এ স্কোয়াডের উদ্যোগেই করা হয়েছিল।”
    “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজকে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে এ আন্দোলনের রুপকার ছিলেন- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা তাঁর সন্তান শহীদ রুমীর নামে এই স্কোয়াড গঠন করেছি।” বললেন সেজুতি।
    তিনি বলেন, “তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রুমীর আত্মত্যাগ আমাদের এখনও আন্দোলিত করে। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সাহস এবং দেশাত্ববোধ আজো আমাদের পথ দেখায়, উজ্জিবিত করে।”
    সেঁজুতি বলেন, “যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত এবং তার সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিবিরকে যখন নিষিদ্ধের দাবি উঠল এ আন্দোলন থেকে। তখন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।”
    তিনি আরও বলেন, “কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি। তাছাড়া, অহিংস অবস্থান থেকে আমাদের সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার। আর যেহেতু সময় বেঁধে দেওয়ার পরও সরকার এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই আমরা এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।”  
    উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণার পরপরই শাহবাগ চত্বরে কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনের সূত্রপাত।
    এরপর এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একসময় এ আন্দোলন গণজোয়ারের সৃষ্টি করে।
    এক সময় এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করেও গড়ে ওঠে বিভিন্ন সংগঠন। শহীদ রুমী স্কোয়াডের জন্ম হয় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের ভেতর থেকেই।