জামায়াতকে নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীতে ২৩ মার্চ ওলামা-মাশায়েখদের মহাসমাবেশ

    0
    522
    জামায়াতকে নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীতে ২৩ মার্চ ওলামা-মাশায়েখদের মহাসমাবেশ। 
    বাংলাদেশ ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

    ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগা’র খতিব ও সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আগামী ২৩ মার্চ শনিবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এই সমাবেশ হবে।

    তিনি বলেন, “জামায়াত ইসলামেরও শত্রু। তারা ধর্মের নামে দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার আমদানি করছে।”

    এছাড়া ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষাকে ‘বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ারও দাবি জানায় ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতা পরিষদ।

    ওলামা-মাশায়েখ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ফরীদ উদ্দীন বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, এবার তাদের রক্ষা নাই।”

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা মাসঊদ বলেন, জামায়াত শুধু যুদ্ধাপরাধী শক্তি নয়, এরা ইসলামেরও শত্রু। এরা দেশে ধর্মের নামে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার আমদানি করেছে। সুতরাং ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ রুখতে হলে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের অর্থের উৎসগুলোকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

    যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আল-বদর, আল-শামস নামে কিছু ‘কুলাঙ্গার’ হানাদার বাহিনীর সহায়তায় হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো নানাবিধ যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত হয়। বর্তমানে তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামী নামে ‘ইসলাম ব্যবসায়ী’ একটি দলের প্রথম সারির নেতা।

    “অতীব দুঃখের বিষয় এরা এসব কিছু করেছে মহান ধর্ম, অসাম্প্রদায়িক, উদার, শান্তিবাদী ও মানবতাবাদী ইসলামের নামে।”

    ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধকে ‘জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এই মাওলানা বলেন, “রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো এদের বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।”

    তাই বিচারিক প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে এসব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই ‘জাতির দায়মুক্তি’ সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। 

    জামায়াত ও শিবিরের তরুণ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মাওলানা মাসঊদ বলেন, “তরুণদের অত্যন্ত আদরের সঙ্গে, স্নেহের সঙ্গে আহ্বান জানাব, তারা যেন জামায়াতের দায় কাঁধে না নেয়।”

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৩ মার্চ বেলা ১১টায় মহাসমাবেশ শুরু হবে। সেখানে দুপুরের নামাজ পরবর্তী সময়েও মহাসমাবেশ চলবে।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আবদুল কাইয়্যুম খান, মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাইফী, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল আলিম ফরিদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ