জামায়াতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হতে পারে যে কোন দিন !

    0
    217

    আমারসিলেট24ডটকম,২০এপ্রিল১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে যে কোন দিন যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠন করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দলটির বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন এখন যাচাই-বাছাই চলছে। এ প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে যে কোন দিন সংগঠনটির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জ প্রস্তুত করা হতে পারে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের অন্যতম সদস্য রানা দাসগুপ্ত এ কথা জানান। প্রসিকিউশন টিমের অপর সদস্য ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, জামায়াতের বিচার করার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের দায়ে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় কোন সংগঠনের বিচারের নজির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে হিটলারের দল নাৎসি’র বিচারের পর বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো কোন সংগঠনের বিচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

    তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান জানান, জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে ৩৭৩ পৃষ্ঠায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি ৭ খণ্ডে ২ হাজার ৩০৩ পৃষ্ঠার জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণপত্র, ১০ খণ্ডে ৩ হাজার ৭৬১ পৃষ্ঠার অন্যান্য নথি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আগের দেয়া রায় ও জামায়াতের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ, ২ শতাধিক বইপত্র, ম্যাগাজিন ও গবেষণাপত্রও জমা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রতিবেদনে জামায়াত ও এর সকল অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ ও অবলুপ্তির আর্জি জানানো হয়েছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয় নথিভুক্ত করে গত বছরের ১৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মতিউর রহমান দীর্ঘ ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে গত ২৭ মার্চ তূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
    হান্নান খান বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জেনেভা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র এবং এসব অপরাধ ঠেকাতে ভূমিকা না রাখাসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৭০ জনকে। গত বছরের ১ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী নিবন্ধিত দলের তালিকা থেকে জামায়াতকে বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন।