জাতীয় প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    0
    242
    জাতীয় প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
    জাতীয় প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    ঢাকা, ২০ মে : আগামী এক মাস রাজধানীতে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসব এলাকায় অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকেই ওইসব এলাকায় বিশেষ করে প্রেসক্লাবের সামনে ও সচিবালয়ের পাশের রাস্তায় র‌্যাব পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। কিন্তু পুলিশের দাবি, নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবেই তাদের এই অবস্থান।
    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মহাসেন পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম নির্বিঘœ করতে গতকাল রবিবার থেকে আগামী ১ মাস দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে যাতে কোনো সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে না পারে, সে বিষয়টি সামনে রেখেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর এ অবস্থান।
    এদিকে প্রেসক্লাব চত্বরের ভেতরেই সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। অন্যদিকে দৈনিক আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদেও গ্রেপ্তার এবং কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে প্রেসক্লাব চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ। পুলিশের রমনা জোনের এডিসি মো. আনোয়ার হোসেন পুলিশের বাড়তি নজরদারির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় প্রেসক্লাবের সামনে সব সময়ই পুলিশের অবস্থান থাকে। তার অংশ হিসেবেই এ উপস্থিতি।
    এর আগে গতকাল রবিবার সরকারের পক্ষ থেকে আগামী এক মাস সারাদেশে রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে ত্রাণকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দূর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। রবিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান।
    এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন আগামী এক মাস কাউকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতা প্রতিরোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় নতুন জোরারগঞ্জ থানা উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের এ জানান মন্ত্রী।
    এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যারা সভা-সমাবেশের নামে গাড়ি ভাঙচুর করে, জ্বালাও-পোড়াও করে, দোকান-পাটে আগুন দেয়, পবিত্র মসজিদে হামলা করে পবিত্র কোরআনে আগুন দেয়, তাদের আর কোথাও সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। তবে সারা দেশেই সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ নাকি শুধু রাজধানীতে তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী।
    গত ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থানকারী হেফাজত কর্মীদের সরিয়ে দেয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সমাবেশের জন্য দুই দফা আবেদন করেও অনুমতি পায়নি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। তাছাড়া গত কয়েক দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।