চুনারুঘাটে কালা বাহিনীর হুমকীর ভয়ে বৈরাগী খাসিয়াপুঞ্জীরা নিরাপত্তাহীনতায়

    0
    284

    আমারসিলেট 24ডটকম,১০ সেপ্টেম্বর ,চুনারুঘাট সংবাদদাতা :  হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ত্রাস কালা বাহিনীর হুমকীর ভয়ে এখন বৈরাগী খাসিয়াপুঞ্জী আদিবাসীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে খাসিয়াপুঞ্জীর ৪০ পরিবার। চুনারুঘাট উপজেলা পূর্বাঞ্চলের ত্রাস বিচারাধীন ৬৫ মামলার আসামী কালা বাহিনীর প্রধান কালার অপর্কম বেড়েই চলছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কালা বাহিনীর প্রধান কালা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তার ভাই কাজল, আরজু, চন্দু মিয়া দূর্গম পাহাড়ী এলাকা বৈরাগী খাসিয়াপুঞ্জীতে জায়গা দখলের জন্য গিয়ে প্রচেষ্টা চালায় এবং সেখানে পুঞ্জীর খাসিয়া মন্ত্রী লাল মিয়া ও তার পুত্র এবং মেয়ের জামাই রমজান আলীকে খাসিয়াপুঞ্জীতে উঠে তাদেরকে হুমকিধামকী ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান ও হামলা করে এবং পুঞ্জীতে খাসিয়া মন্ত্রী লাল মিয়ার বাগানের কর্মচারী লেবু, পান-সুপারী চাষী এক চা শ্রমিক, সাতগাঁও গ্রামের মতলিব ও তোহিদ নামে তিন জনের মোবাইল জোরপূর্বক নিয়ে আসে কালা ও তার ভাই কাজল সংঘবদ্ধ।

    উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের হাকাজুড়া গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে মোঃ কালা মিয়া, পূর্বাঞ্চলের ত্রাস ও বিভিন্ন অপকর্মের হুতা কালা বাহিনীর প্রধান কালা সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বর্তমানে বনাঞ্চলের গাছ পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতায় জড়িত রয়েছে। কালা মিয়া পূর্বাঞ্চলের চা বাগান ও বনবিভাগের বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে বিক্রি করার জন্য গঠন করে কালা বাহিনী নামে এক বিশাল বাহিনী। এ বাহিনীর মাধ্যমে সে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আমরুল, গান্ধী, সাতগাঁও, হুগলি চা বাগান ও চুনারুঘাট পূর্বাঞ্চলের নাসিমাবাদ, পারকুল, শ্রীবাড়ি, দারাগাও, হাতিমারা চা বাগানের ছায়াবৃক্ষ এবং কালেঙ্গা রেঞ্জের রশিদপুর, কালেঙ্গা বনবিট বনাঞ্চল থেকে সেগুনসহ নানা প্রজাতির মূল্যবান গাছ কেটে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছে।

    তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ৭২টি মামলা দায়ের করা হলে এখনো থেমেনি কালা বাহিনীর প্রধান কালার গাছ পাচার সহ তার বিভিন্ন অপকর্ম। তার বিরুদ্ধে পুলিশে হেন্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, গান্ধীছড়া চা বাগানে চৌকিদার খুন, বিডিআর, ফরেষ্ট এসল্ট, ইউএনও’র গাড়ি ভাংচুর, চুরি, ডাকাতি, বন মামলাসহ ৭২টি মামলার মধ্যে বিচারাধীন এখন প্রায় ৬৫টি মামলা রয়েছে। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগীতা নিয়ে কালা মিয়া গঠন করে কালা বাহিনী নামে চা বাগানের ছায়াবৃক্ষ ও বনাঞ্চলের গাছ চোরদের একটি চক্র।

    এ চক্রটি রাত দিন প্রতিনিয়ত সশ্রত্র অবস্থায় চা বাগান ও বন বিভাগে প্রবেশ করে সেগুনসহ নানা প্রজাতির সরকারের লাখ লাখ টাকার মূল্যবান গাছ কেটে সাভার করে নিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এলাকার কেহ মুখ খোলতে সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, যদি তার বিরুদ্ধে কথা বলে তার প্রতি নেমে আসে অমানষিক নির্যাতন এবং মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার ও মৃত্যুর হুমকি। উল্লেখ্য, কালা বাহিনীর প্রধান কালা চুনারুঘাট উপজেলার পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন অপকর্মের ও গাছ চোরা কারবারীদের গড ফাদার হিসাবে খ্যাত। তার বিরুদ্ধে খুন খারাপীসহ বিভিন্ন অপরাধে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার কোর্টে বিচারাধীন প্রায় ৬৫টি মামলা রয়েছে। বৈরাগী খাসিয়াপুঞ্জীতে এখন জোরপূর্বক বাগান দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং খাসিয়াপুঞ্জীর মন্ত্রী লাল মিয়া তার পুত্র ও মেয়ের জামাই রমজান আলীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকীর প্রদান করে তিন কর্মচারীর মোবাইল ফোন জোরপূর্বক নিয়ে আসে কালা বাহিনীর প্রধান কালারা। এতে পূর্বাঞ্চলের ত্রাস কালা বাহিনীর প্রধান কালা মিয়ার হুমকির ভয়ে পুঞ্জী আদিবাসী ৪০ পরিবার সহ পুঞ্জী বাসীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন তাদের মাঝে আতংক ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে বলে পুঞ্জিবাসী সূত্রে জানা গেছে।