চট্টগ্রামে লাখো জনতার সুন্নী মহাসমাবেশে হেফাজতের শাস্তি দাবি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের

    0
    680

    হেফাজতে ইসলাম এবং হজরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ১২ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত।

    হেফাজতে ইসলাম এবং হজরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ১২ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত।
    হেফাজতে ইসলাম এবং হজরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ১২ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত।

    শনিবার বেলা ২টায় শুরু হওয়া ১০ ল লোকের সুন্নী মহাসমাবেশ থেকে ১২ দফা দাবি দিয়েছে সংগঠনটি।
    দাবি আদায়ে আগামী ২৫ মে ঢাকায় সুন্নী মহাসমাবেশের ঘোষণার পাশাপাশি ১১ মে নারায়ণগঞ্জ, ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা এসেছে।
    ১০ ল মুসল্লির উপস্থিতিতে মহাসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
    আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের ১২ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ‘জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র’ হিসেবে চিহ্নিত ওয়াহাবি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোকে সরকারি সিলেবাসের আওতাভুক্ত করে অভিন্ন মাদ্রাসা শিানীতি বাস্তবায়ন।
    কোরআন-ইসলাম-নবী করীম ( দঃ) এর অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে ডাকা সুন্নী মহাসমাবেশ চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে শুরু হয়। সুন্নিয়ত ও তরিকতপন্থী হিসাবে পরিচিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জমায়াত এ মহাসমাবেশ করে।
     লালদীঘি ময়দানের দণি প্রান্তে তৈরি বিশাল মঞ্চ থেকে হামদ, নাত পরিবেশনের পাশাপাশি মাঝারি সারির নেতারা জোহর নামাজের পর থেকে বক্তব্য রাখেন।
    দুপুরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলা থেকে মিছিল ও গাড়ি বহর নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা সমাবেশে যোগ দেন। মিছিল ও গাড়ি বহর থেকে নারায়ে রিসালাত-ইয়া রাসুলাল্লাহ নারায়ে গাওছিয়া-ইয়া গাওসুল আযম দস্তগীর’। ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার-এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

    ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু
    ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু

    বৃহত্তম সুন্নী মহাসমাবেশ সফল করতে বিগত এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামে ব্যাপক মাইকিং, পোস্টারিং ও মসজিদে মসজিদে বাদ জুমা লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে প্রায় ১০ লাখ সুন্নী মুসলমান মহাসমাবেশে যোগ দেন বলে নেতৃবৃন্দ জানান।
    দেওবন্দী-কওমী আলেম-ওলামা এবং জামায়াত-শিবির-মওদুদীবাদ বাতিলপন্থী হিসাবে পরিচিত। মুলত চট্টগ্রাম ভিত্তিক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের রয়েছে মসজিদ-দরগাহ-মাদ্রাসা ভিত্তিক শক্তিশালী অবস্থান।
    মহাসমাবেশে আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী, অধ্য জালাল উদ্দিন আল কাদেরী, মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী, মুফতি ইদ্রিছ রেজভী, আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী, সাইফুর রহমান নিজামী শাহ ও মুহাম্মদ নুরুল মুনাওয়ার বক্তব্য রাখেন বলে জানা যায়।
    এ মহাসমাবেশ সফল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে সুন্নী রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, পীর এবং মাজার দরবারগুলো। চট্টগ্রামের অর্ধশত মাজার ও দরবারের পীর মাশায়েখরা মহাসমাবেশ সফল করতে প্রায় একমাস ধরে একযোগে কাজ করেছেন। চট্টগ্রামে স্মরণকালের বৃহত্তম এই অরাজনৈতিক মহাসমাবেশে ১০ লাধিক সুন্নী জনতার সমাগম ঘটে।
    এম এ মতিন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। লাখ লাখ সাধারণ সুন্নী মুসলমান এতে অংশগ্রহণ করেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (দঃ) বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম জেলার মধ্যেই এই মহাসমাবেশের প্রচারণা চালানো হয়। তবে চট্টগ্রামের বাইরে থেকেও অনেকেই অংশগ্রহণ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। যে পরিমাণ জনসমাগম হয়েছে তাতে লালদিঘি ময়দানে সংকুলান হয় নি। লালদিঘি মাঠ থেকে চারদিকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমাবেশ বিস্তৃত ছিল।

    ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু
    ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু

    সুন্নী মহাসমাবেশ সফল করতে গতকাল নগরীতে বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। বাদ আছর লালদিঘি মসজিদ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে এসে শেষ হয়। সেখানে এক পথসভা স্বেচ্ছাসেবক কমিটির প্রধান সাদেক হোসেন পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন আবদুস সামাদ, নুরুল ইসলাম জেহাদী, রেজাউল করিম তালুকদার, জাকের হোসাইন, গিয়াস উদ্দিন নিজামী, সেয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, শফিউল আলম, শাহাদাত হোসেন, জামাল উদ্দিন, আবদুর রসুল।
    এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ, আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাষ্টসহ সুন্নীপন্থী সকল রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মহাসমাবেশ সফল করতে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করেছেন। এছাড়া ফটিকছড়ির বৃহত্তম মাইজভান্ডার দরবার শরীফ, শাহ আমানত মাজার, পটিয়ার আমীর ভান্ডার, হক মঞ্জিলসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ছোট-বড় অর্ধশত মাজার, পীর, মাশায়েখ এবং তাদের ভক্তরা মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছেন।’ তিনি জানান, ‘লালদিঘির মাঠ এতো বড় না হওয়ায় ফিরিঙ্গিবাজার, রেলওয়ে স্টেশন, আন্দরকিল্লা, চেরাগী পাহাড় মোড়, কাটাপাহাড় এলাকায় মাইক দিয়ে মহাসমাবেশ বিস্তৃত করা হয়। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মাইক দিয়ে শীর্ষ সুন্নী আলেমদের বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা রাখা হয়। যে যার যার অবস্থান থেকে নিজ খরচে সমাবেশে এসেছেন।’
    জানা যায়, সুন্নী মহাসমাবেশে দেশের শীর্ষ সাত সুন্নী আলেম সারা দেশের প্রায় শতাধিক বরেণ্য সুন্নী আলেম উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রামে সুন্নীদের বৃহত্তম সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ, আঞ্জুমানে রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্টসহ বিভিন্ন সংগঠন মহাসমাবেশ সফল করতে মাঠে নামে। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসাসহ সুন্নীপন্থী মাদ্রাসাগুলোর ছাত্র-শিকরা মহাসমাবেশ সফল করতে নানা প্রচারণামূলক কাজ চালিয়েছেন। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে মাইকে দিন-রাত চলছে মহাসমাবেশের প্রচারণা। সিএনজিতে করে মাইক দিয়ে মহাসমাবেশের প্রচারণা চালানো হয় নগরজুড়ে। ইতিমধ্যে দুই লাখ, লিফলেট, এক লাখ পোস্টার, অর্ধ লাখ ব্যানার, ফেস্টুন বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া হয়। চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকায় বিভিন্ন সংগঠন, মাজার, দরবারের প থেকে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হয়। এদের মধ্যে মাইজভান্ডারী ফাউন্ডেশন, আনজুমানে রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ, গশ্চি হাবিবিয়া দরবার শরীফ, আঞ্জুমানে ইখওয়ানে মারেফাত, আনজুমানে নকশাবন্দীয়া মোজাদ্দেদীয়া বাংলাদেশ, আশেকানে মাইজভান্ডারী পরিষদ বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের ভক্তদের মহাসমাবেশ সফল করতে আহবান জানায়। সমাবেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংগঠনের প থেকে এক হাজার ছয়শ’ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানা যায়।
    দণি জেলার সমন্বয়ক সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আনোয়ারা, পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকে প্রায় দুই/তিন লাখ মানুষ সুন্নী মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে।
    উত্তর জেলার  সদস্য সচিব মাওলানা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ বলেন, মীরসরাই, সীতাকুন্ড, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী উপজেলা থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ মুসলমান সমাবেশে যোগ দেন। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ নগর সম্পাদক আলহাজ মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম বলেন, ইসলাম ও নবী (দ:) শানে কটূক্তি করে ইসলামের তি করছেন অন্যদিকে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের নামে ইসলাম বিকৃতকারীরা আবার মাঠে নেমে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প থেকে ধর্ম বিকৃতকারীদের রুখে দিতে লালদিঘির মহাসমাবেশ করা হলো।
    সংবাদপত্রে এক যৌথ বিবৃতিতে উলামা মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা, বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দুরবস্থার উত্তরণ, ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলামের ছদ্মাবরণে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কবল থেকে দেশ, ইসলাম ও মানবতাকে সুরা এবং ঈমান-আক্বিদা ও আমলের হেফাজত করার ল্েয সুন্নী মহাসমাবেশ তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।
    সুন্নী মহাসমাবেশ করায় বিবৃতি দিয়েছেন ইমামে আহলে সুন্নাত আলামা কাযী নুরুল ইসলাম হাশেমী, অধ্য আলামা জালাল উদ্দিন আলকাদেরী, পীরে ত্বরিকত আলামা মুফতি ইদ্রিস রজভী, আলামা আজিজুল হক আলকাদেরী, আলামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী, আলামা সাইফুর রহমান নিজামী শাহ, অধ্য আলামা সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল মুনাওয়ার, শাহ সুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী, পীরে ত্বরিকত শাহ্ সুফী ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী, শাহ সুফী সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, পীরে ত্বরিকত শাহ সুফী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, শাহ সুফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী, শাহ্ সুফী হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী, পীরে ত্বরিকত আলামা সৈয়দ আমিনুল হক আলকাদেরী, আলামা সৈয়দ মছিহুদ্দোলা, মাওলানা এম এ মতিন, এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাওলানা সৈয়দ বদরুদ্দোজা বারী, অধ্য মাওলানা নুরুল আলম হেজাজী, উপাধ্য আলামা ছগির ওসমানী, আলামা সৈয়দ অছিয়র রহমান, আলামা হাফেজ সোলায়মান আনসারী, আলামা মুফতী আব্দুল ওয়াজেদ, আলামা কাযী মঈনুদ্দীন আশরাফী, আলামা আবুল কাশেম নুরী, মাওলানা স উ ম আব্দুস সামাদ, অধ্য আলামা হাফেজ আব্দুল আলীম রেজভী, অধ্য আলামা মুখতার আহমদ, অধ্য আলামা ইয়াকুব আলী খান, আলামা শাহ নূর মোহাম্মদ আল-কাদেরী, অধ্য আলামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, অধ্য আলামা হারুনুর রশিদ, অধ্য আলামা ক্বারী নুরুল আলম খান, অধ্য আলামা মুফতী আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, আলামা ছাদেকুর রহমান হাশেমী, অধ্যাপক আলামা রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, অধ্য আলামা আমিনুর রহমান, অধ্য আলামা ইসমাইল নোমানী, অধ্য আলামা সৈয়দ খুরশিদ আলম, মাওলানা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, মাওলানা ওবায়দুল মোস্তফা নঈমী, মাওলানা এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, উপাধ্য আলামা সৈয়দ নুরুল আমিন, অধ্য আলামা বদিউল আলম রেজভী, উপাধ্য আলামা আব্দুল অদুদ, ড. আবুল বশার, ড. এম এ অদুদ, আলামা হাফেজ আনিসুজ্জামান প্রমুখ।
    মুহাম্মদ জাকের হোসাইন স্বারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের শীর্ষস্থানীয় পীর-মাশায়েখ, ওলামায়েকেরাম, ইসলামী চিন্তাবিদ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।