গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

    0
    251
    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু
    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

    ঢাকা, ২০ মে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন আন্দোলনের নামে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া যদি নাশকতা না করতেন তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যেত। আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিরোধীদলীয় নেতা ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিচ্ছেন। রবিবার সকালে সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে বর্তমান সরকারের সাফল্যের চার বছর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাছির আহমেদ, আপন কমিউনিকেশনসের প্রধান নির্বাহী রুহুল আমিন ভূঁইয়া আরিফ প্রমুখ ।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কোনো গতানুগতিক সরকার নয়। বর্তমান সরকার দিন বদলের সরকার। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দ্বার উন্মোচনের সরকার। নারী ও দুস্থবান্ধব সরকার। বর্তমান মহাজোট সরকার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। মহাজোট সরকারের শরিক দলের বেশির ভাগ দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা সব সময় সদর দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাই। আমরা ওই নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে বেগম জিয়া আসবেন এবং তার দল পরাজিত হবে। বর্তমান সরকার কোনো গতানুগতিক সরকার নয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল ষড়যন্ত্র না করলে বর্তমান সরকারের সময়ে আরও উন্নয়ন হতো। বেগম জিয়া যদি সংগ্রামের নামে অন্তর্ঘাতমূলক রাজনীতি না করতেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তাদের সশস্ত্র তাণ্ডবে সমর্থন না দিতেন তবে আরও উন্নয়ন সম্ভব ছিল। তিনি বলেন, অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রানা প্লাজার হতাহতদের উদ্ধার ও তাদের চিকিৎসা এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের নাশকতা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করাও সম্ভব হয়েছে।
    তথ্যমন্ত্রী মহাজোট সরকারের চার বছরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরে বলেন, বিশ্বমন্দা ও অতীতের ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের ভুল পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতি-প্রশাসন-সামাজিক জীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় প্রবৃদ্ধি ৫ এর নিচে ও মূল্যস্ফীতি ১০ এর কাছে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ৬ এর ওপরে এবং মূল্যস্ফীতি দশের নিচে নেমে এনে অর্থনীতিতে স্থিতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, অতীতের সামরিক-সাম্প্রদায়িকতার চিহ্ন থেকে উত্তোরণ ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে। পাশাপাশি অমার্জনীয় অপরাধ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দায়িত্ব আমাদের জনগণ দিয়েছে। চার বছরে ১৭ লাখের ওপরে শ্রমশক্তি রফতানি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার শান্তি মডেল বিশ্ব গ্রহণ করেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করেছে। সাম্প্রতিক সময় কয়েকটি গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া এবং শনিবার ১৫ জন সম্পাদকের বিবৃতি প্রদানের বিষয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হবে।