কুলাউড়া-জুড়ী-শাহ্বাজপুর রেল লাইনের ভূমি দখলদারদের কবলে

    0
    241

    (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া-জুড়ী-শাহ্বাজপুর লাইনটি বন্ধ থাকায় জুড়ী রেলষ্টেশন ভবনটি জরাজীর্ণ ও দরজা-জানালা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে

    আমারসিলেট24ডটকম,০৫জানুয়ারী,সুমনকুলাউড়া-জুড়ী-শাহ্বাজপুর রেলওয়ে রোডটি ২০০২ সাল থেকে বন্ধ থাকায় ৬টি রেল ষ্টেশনের  অবস্থা বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে এ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এতদঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। সেই সঙ্গে রেলওয়ের দু’পাশের লাখ লাখ টাকার ভূমি দখলসহ রেললাইনের স্লিপারসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ রেল লাইনটি এক সময় ভারতের আসাম রাজ্যের মহিশাসন পর্যন্ত বি¯তৃত ছিল।

    আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ‘৮৫ সালে কুলাউড়া-জুড়ী-শাহ্বাজপুর রেল লাইন চালু করে। ওই সময় বৃটিশ সরকার পণ্য আমদানী রপ্তানির সার্থে রেল পথ বি¯তৃত করলেও ভারত বিভক্ত হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সব ধনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আখাউড়া-সিলেট রেলওয়ে সেকশনে এ লাইনটি এতদঞ্চলের জনগণের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠে। ‘৮৮ সালে রেল ওয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এ লাইন পরিদর্শন করে ট্রেন চলাচলের অনুপযোগী উল্লেখ করে সংস্কারের পরামর্শ দাখিল করে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ ৪১ কিলোমিটার এ রেল লাইনের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়লে সরকার ২০০২ সালের ৮ জুলাই এ রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়।

    কুলাউড়া-জুড়ী-শাহ্বাজপুর রেলষ্টেশন পরিদর্শনকালে এ ষ্টেশন ভবনের জরাজীর্ণ দশা এবং ভাঙ্গা দরজা জানালা চোখে পড়ে। দীর্ঘ বছর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার সুবাদে একটি সংঘবদ্ধচক্র স্লিপারসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। রেল লাইনের দু’পাশের ভূমি অবৈধভাবে দখল করে কেউ ক্ষেত কৃষি করেছেন আবার কেউ ঘর দরজা বানিয়ে বসবাস করছে। মাঝে মাঝে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ লোক দেখানো অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।