মুরাদনগর, ২০ এপ্রিল : কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ড এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সঞ্চালন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে প্রায় আড়াইকোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে যা গ্যাস সমস্যায় জর্জরিত দেশের জন্য এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। আজ সকালে এ গ্যাস ফিল্ড এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সঞ্চালন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার জনগণের সম্পদ আগে তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার এবং পরে রূপ্তানির বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আগে জনগণের সম্পদ তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করবো। পরে রূপ্তানির বিষয়টি বিবেচনা করবো।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ড. হোসেইন মনসুর ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ এ গ্যাস ফিল্ড থেকে বাণিজ্যিকভাবে ১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়। এর আগে বিগত বিএনপি সরকার শ্রীকাইলে প্রথম কূপ খননের কাজ শুরু করে। কিন্তু তাতে গ্যাস পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এবারে ক্ষমতায় এসে দ্বিতীয় গ্যাস কূপ খনন শুরু করে এবং এ কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলার সহায়তায় গাজপ্রম গত ৮ মার্চ শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডে তৃতীয় কূপ খননের কাজ শুরু করেছে।
প্রত্যেক নেতারই দেশের জন্য দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। আর এ কথা মনে রেখেই ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা গ্যাস রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেশের গ্যাস সংকট কমাতে সরকার ইতোমধ্যে শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডে তৃতীয় গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে।
জ্বালানি সচিব মাহাবুবুর রহমান খান গ্যাস ফিল্ডের বিভিন্ন দিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পেট্রোবাংলার সহায়তায় রাশিয়ার সরকার পরিচালিত গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কোম্পানি গাজপ্রম ৫১.১৮ কোটি ব্যয়ে গ্যাস ফিল্ডটি অনুসন্ধান করে।