কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও শহীদ মিনারে হামলায় মামলা

    0
    286

    আমারসিলেট24ডটকম,১ডিসেম্বর,বদরুলকানাইঘাটে একের পর এক মামলায় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা বর্তমানে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন,  রাজনৈতিক এসব মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিরোধী জোটের নেতাকর্মী। হত্যা, গাড়ী ভাংচুর, দোকান-পাট ও বাড়ী-ঘরে হামলা এবং লুটপাটের কয়েকটি মামলায় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের কয়েকশ নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়ে জেল হাযতে আসেন। তারপর গত শনিবার জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের হাতে নৃশংস হত্যাকান্ডের স্বীকার যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম খুন হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতার কারনে গত দু’দিনের অবরোধে কানাইঘাটের রাজপথে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায় নি। এদিকে গত শনিবার রাতে কানাইঘাটের চতুল বাজারে আ’লীগ ও বিএনপি জামায়াতের পাল্টাপাল্টি মিছিলকে কেন্দ্র করে বাজারে অবস্থিত উভয় সংগঠনের সমর্থিত ব্যবসায়ীদের অন্তত ৩০টি দোকান পাটে পাল্টাপাল্টি ভাংচুর, লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুট, বাজারে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও শহীদ মিনার ভাংচুর করা হয়।

    মু্ক্তিযোদ্ধা অফিসে হামলা, আসবাবপত্র লোটপাঠ, শহীদ মিনারে ভাংচুর এবং বোমা ও ককটেল বিষ্ফোরণের অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার ৫নং বড়চতুল ইউপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের ৬৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম জানান, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনার ও মুক্তিযোদ্ধা অফিসে হামলা ভাংচুর, বোমা, ককটেল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে ৭১ এর পাক হানাদার বাহিনীর সাথে তুলনা করেছেন। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।