কমলগঞ্জে হিংস্র প্রাণীর আক্রমনে শিশুসহ আহত-৮

    0
    251

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪ডিসেম্বর,জহিরুল ইসলাম,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কালেঙ্গা বন সংলগ্ন কালেঙ্গা ও দিঘলগাজী গ্রামে অজ্ঞাত প্রাণীর আক্রমনে শিশুসহ আটজন আহত হয়েছেন ।
    এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, শনিবার রাত ৮ টার দিকে এ প্রাণীটির আক্রমনে আহত হয়েছেন ৩ জন। এর আগের আহত হয়েছেন আরও ৪জন। আহতদের মধ্যে তাওহিদ মিয়া (২০), রাজু মিয়া (২২),আরিফ মিয়া (১৪), শরিফ আহম্মদ (১৮), ও পারুল বেগম (৩৫) কে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    বাকী আহত মনহর মিয়া (৪০), আঙ্গুর মিয়া (২২), জাহেদ মিয়া (২১) ও স্বপন মিয়া (১২) বিভিন্ন ক্লিনিক ও গ্রাম্য ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন।

    তবে এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কান্তি দো বলেন, রবিবার দুপুর ১২টার আমতলী রাস্তায় মসজিদের পাশে কামর দেয় লকুছ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (১২) কে। খবর পেয়ে বেলা ১টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
    গ্রামবাসীরা তাকে জানিয়েছেন যারা প্রাণীটিকে দেখেছেন তারা এটি দেখতে মেছোবাঘের মতো নয় বলে জানিয়েছেন তিনি প্রাণীটিকে না দেখে এটি কি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না বলে জানান। তবে মেছবাঘ, বড় শিয়াল বা বন্য কুকুর হতে পারে বলে অনেকের ধারানা।এসময় তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে কালেঙ্গা বনের বর্ষি জোড়া ইকো পার্কে একটি মেছোবাঘ অবমুক্ত করা হয়েছিল। এই মেছবাঘটি পাগল হয়ে পথচারিসহ ঘরের ভিতর প্রবেশ করে মানুষকে কামড়িয়ে থাকতে পারে।

    আক্রমনের শিকার আঙ্গুর মিয়া জানান, প্রাণীটি দেখতে অনেকটা শিয়ালেরমতো তবে তার মুখ একটু লম্বা ও মুখের সামনা অংশ একটু কালো এবং শিয়ালের চেয়ে আকৃতি বড় । তাদের বর্ণনা  অনুযায়ী বনবিভাগের কাছে এটিকে বন্য কুকুরের (হায়েনা) আকৃতি মনে হলেও কালেঙ্গা বা লাউয়াছড়া বনে বন্য কুকুরের কোন অস্থিত্ব তাদের জানা মতে নেই বলে জানায় বন বিভাগ।
    এদিকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ওই গ্রামে একটি খাঁচা দেয়া হয়েছে এবং গ্রামবাসীকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সাথে গ্রামে বসানো হয়েছে বন বিভাগের বিশেষ টহল।
    ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, রোববারে তারা লাঠি হাতে পাহারা দিয়েছেন,গত তিনদিনে এই প্রাণীর আক্রমনে ৮জন আহত হওয়া ছাড়াও আহত হয়েছে কয়েকটি গবাদিপশু।

    এ ঘটনায় বর্তমানে আতংকিত রয়েছেন পুরো গ্রাম জুড়ে। লাটি সোটা নিয়ে দিন রাত সর্তকবস্থায় রয়েছেন গ্রামের মানুষজন।