কংক্রিটে মিশে আছে পিষ্ট হওয়া শত শত লাশ

    0
    659

    ঢাকা, ২৭ এপ্রিল: ধসে পড়া ভবনের দেওয়াল ও ছাদের কংক্রিটের সঙ্গে মিশে আছে চাপা পড়া মানুষের মৃতদেহ। কংক্রিটের খাঁজে খাঁজে পিষে থাকা লাশগুলো ইতিমধ্যেই পচতে শুরম্ন করেছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
    তবে ভবনের বিভিন্ন তলার দেওয়াল ও কংক্রিটের ভাঙ্গা অংশ না সরানো পর্যন্ত্ম বাকি লাশগুলো উদ্ধার সম্ভব হবেনা বলে জানালেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে এখনই উদ্ধার কাজে ক্রেন বা ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ঝুঁকি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিদ্দিকুল আলম শিকদার জানিয়েছেন, এখনও ওপরের তলাগুলোতে মানুষ বেঁচে আছে। তাছাড়া কয়েকশ’ স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন তলায় বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কারণেই ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
    ধসে যাওয়া ভবনের চার ও পাঁচ তলায় গিয়ে দেখা গেছে, কংক্রিট, লোহা, গার্মেন্টসের কাপড়, সুতোর টোটা, ফিতে ইত্যাদি লাশের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।
    তিনতলার ওপরের তলাগুলো ভেঙ্গে দেবে গেলেও নিচের তলাগুলোর অবস্থা কি তা বোঝা যাচ্ছে না।
    বিমগুলো ছড়িয়ে আছে বিচ্ছিন্নভাবে। স্বেচ্ছাসেবক ও উদ্ধারকারীরা কোথাও বাঁশ আবার কোথাও ইট দিয়ে ওই সব ভাঙ্গা কংক্রিটের পতন ঠেকাচ্ছেন। এর মধ্যেই কংক্রিট কাটা মেশিন দিয়ে ফ্লোর কেটে ভেতরে জীবিত মানুষের খোঁজ করছেন উদ্ধারকারী দল। তবে অধিকাংশ সময়েই বেরিয়ে আসছে হতভাগ্য গর্মেন্টস কর্মীদের লাশ। এছাড়া যাদের জীবিত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে তাদের উদ্ধার করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।
    উদ্ধারকারী দলের কর্মী শামীম আহমেদ জানান, ভবনের দেওয়াল ও বিমের সঙ্গে ঝুলে ও পিষে রয়েছে শত শত লাশ।
    উদ্ধারকারী জানান, বিভিন্ন রকম সুগন্ধি ছড়িয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। অঙ্েিজনের অভাব আর লাশের দুর্গন্ধে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
    এছাড়া ঘটনাস্থলে প্রচুর উদ্ধারকর্মী থাকলেও সমন্বয়হীনতার কারণে উদ্ধারকাজের গতি শ্লথ বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।