আমারসিলেট 24ডটকম,০৩অক্টোবর:ঐশী রহমানই তার বাবা মাকে খুন করেছে- এমন তথ্যই মিলেছে ডিএনএ রিপোর্টও। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্জের (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার স্থান থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ডিএনএ পরীক্ষায়ও তাদেরই সন্তান ঐশী রহমানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।প্রথম গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করেছিল- ঐশী একাই তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে। পক্ষান্তরে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এ স্বীকারোক্তিই দিয়েছিল ঐশী।
পরবর্তীতে, তার দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে সে । তার আবেদনে বলেছে, তাকে ওই স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এরপর ঐশীর কাছে পাওয়া গহনা ও ঐশীর ফেলে যাওয়া পোশাক থেকে নমুনা নিয়ে এবং হত্যাকাণ্ড স্থলে পাওয়া নমুনার সঙ্গে তার মিল রয়েছে কি না, তা অনুসন্ধানে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিশ।
ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর কাল বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, ঐশীর রক্তমাখা পোশাকে ও গহনায় নিহত মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না বেগমের ডিএনএ পাওয়া গেছে। ঐশী ও তার নিহত মা-বাবার ডিএনএ ছাড়া আর কোনো ব্যক্তির ডিএনএ এর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলেও জনান তিনি।
ডিএনএ পরীক্ষায় আর কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ না মেলায় রনি ও জনি কতটুকু অপরাধী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা প্ররোচনাকারী ও আশ্রয় দাতা হিসেবে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত। হত্যাকাণ্ডের পর ঐশীদের বাড়ির শিশু গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তবে তার ডিএনএ এর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান।
পুলিশ বলছে , হত্যাকাণ্ডের পর ঐশীর ফেলে যাওয়া রক্তমাখা পোশাক পাওয়া গিয়েছিল তাদের চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে। আর ঐশীকে আটকের সময় পাওয়া যায় তার মায়ের গহনা। এ গহনা সে বাড়ি থেকে সরিয়েছিল। অপরদিকে ঐশী একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে দাবি করে এলেও তার দুই বন্ধু জনি ও রনিকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য,পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তাদের মেয়ে রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়ামের ও লেভেলের ছাত্রী ঐশী পল্টন মডেল থানায় আত্মসমর্পণ করে। এ ঘটনায় তার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা প্রমান করতে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।