এরশাদ নির্বাচনে আছেন নির্বাচনে থাকবেনঃসুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

    0
    232

    আমারসিলেট24ডটকম,০ডিসেম্বরঃ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ধারনা করছেন হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ ‘সর্বদলীয়’ সরকার থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বললেও শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে থাকবেন

    আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, “এরশাদ নির্বাচনে আছেন, নির্বাচনে থাকবেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে এই দেশের ক্ষমতা হস্তাস্তরের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবেন।”

    বিএনপির অনুপস্থিতিতে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর মঙ্গলবার নাটকীয় এক ঘোষণায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।

    পরদিন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকার থেকে জাতীয় পার্টির সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে বলেন তিনি। সে অনুযায়ী চারজন তাদের পদত্যাগপত্র বৃহস্পতিবার এরশাদের হাতে তুলে দেন, যা শনিবার রাষ্ট্রপতিকে দেবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান।

    এ বিষয়ে প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত বলেন, “আমি তো বললাম যে আম থেতে গেলে আমতলায় যেতে হয়, জামতলায় গিয়ে লাভ হয় না। উনি বলেছেন রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার অধিকার তার আছে।”

    তাহলে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা কি পদত্যাগ করছেন না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ এতো বুদ্ধিহীন হয়ে যায়নি। মাছ বাজারে গিয়ে যে ওষুধ পাওয়া যায় না, ওষুধ বাজারে গিয়ে যে মাছ পাওয়া যায় না, এটা আমরা সকলেই জানি।

    “রাষ্ট্রপতি কাছে গিয়ে পদত্যাগ পাওয়া যায় না, এটি সংবিধানেই লেখা আছে। আর পদত্যাগ না করলে কোথায় যেতে হয়, আর পদত্যাগের হুমকি দিয়ে ত্যাগ না কলে কি করতে হয়- এটাও মানুষ বোঝে।”

    ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ীই বর্তমান সরকার পরবর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

    ১৮দলের অবরোধ কর্মসূচির সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, “আমি মনে করি, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার পর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এতে অংশগ্রহণ করার পর এবং নির্বচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এ কর্মসূচির রাজনৈতিক যৌক্তিকতা নেই।”

    রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এ ধরনের ‘অরাজনৈতিক করমসূচির কারণে সারা দেশে যে প্রাণহানি ঘটছে, তার দায় বিরোধীদলকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই সাবেক মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, “বিরোধী দল অজ্ঞাত স্থান থেকে কর্মসূচি দিচ্ছে। তাতে তাদের ছবি ও কথাবার্তা আসছে, যার রাজনৈতিক পরিচয়ও পাওয়া যাচ্ছে।”

    এই নেতা আরও বলেন, “রাজনীতীতে দেনদরবার হয়, আলাপ-আলোচনা হয়, এটা আড়ালে অাবডালেও হয়, কিছুটা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যেও হতে পারে। তার একটা আব্রু আছে। আমরা যেন এই আব্রুটা রেখে রাজনীতিতে লেনদেন করি।”