আয়েবার মাধ্যমে প্রবাসীদের অধিকার আদায় সম্ভব

    0
    237
    আয়েবার সেক্রেটারি জেনারেল কাজী এনায়েত উল্লাহ
    আয়েবার সেক্রেটারি জেনারেল কাজী এনায়েত উল্লাহ

    আমার সিলেট  24 ডটকম,অক্টোবর,আবু তাহিরঃ গত ১২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীস সরকার স্ট্রবেরি খামারে গুলিবিদ্ধ ৩৫ জন বাংলাদেশীকে গ্রীন কার্ড প্রদান করেছে,যদিও অনেক সংগ্রাম আর রক্তপাতের পর বাংলাদেশীরা এ ন্যায় বিচার পেয়েছে।অনেকেই এ প্রাপ্তিকে ইউরোপে বাংলাদেশীদের অধিকার আদায়ে সবচেয়ে বড় সফলতা মনে করছেন।এ বছরের এপ্রিল মাসে সংগঠিত এ রক্তপাতের পর গ্রীসে আহত এসকল প্রবাসীদের অধিকার আদায়ের জন্য বলিষ্ট ভুমিকা রেখে আসছিল ইউরোপের বাংলাদেশীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন অল ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন আয়েবা।

    বিশেষ করে  আয়েবা সেক্রেটারি জেনারেল ফ্রান্স প্রবাসী ও ফ্রান্স বাংলাদেশ ইকোনোমিক চেম্বারের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ প্যারিসের গ্রিক দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান ও ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রতিবাদ জানানোর পর গ্রিক প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। চাপ দিতে থাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও।ঘটনার পরপরই গ্রিসে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ এথেন্সের অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (আয়বো) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ড. জয়নুল আবেদিনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রিক সরকারের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।সবমিলিয়ে আয়েবার ভুমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও আপোষহীন,যার ফসল হিসাবে গ্রীসে বৈধতা পাওয়ার  ঐতিহাসিক মুহূর্ত পালন করছে গ্রীস প্রবাসীরা।

    এ বিষয়ে প্যারিস থেকে প্রকাশিত মাসিক নবকন্ঠ পত্রিকার সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের আয়েবার সেক্রেটারি জেনারেল কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে বাংলাদেশিরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে বছরের পর বছর।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল  রাজধানী এথেন্স থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে নেয়া মানোলাদার প্রত্যন্ত গ্রামে বকেয়া বেতনের জন্য আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর খামার কতৃপক্ষ গুলি চালায়। সেদিন অনেকে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন ৩৫ বাংলাদেশি।আমরা শক্ত ভাবে এর প্রতিবাদ করেছি। গ্রিক প্রশাসন তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশিদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয়েছে এতে আমি ও আমার সংগঠন এবং সর্বোপরি সারা বিশ্বের বাংলাদেশীরা অত্যন্ত আনন্দিত।

    এটি আমাদের অধিকারের বিজয়।তিনি বলেন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে আমাদের দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে উন্নত আধুনিক ও মডেল হয়ে থাকবে।তিনি আয়েবার বিভিন্ন গঠনমুলক ও উন্নয়নমুখী কর্মসুচীর কথা উল্লেখ করে বলেন শুধু গ্রীসে নয় সারা বিশ্বের নির্যাতিত বাংলাদেশী শ্রমিকদের পাশে আয়েবা প্রাচীরের মত থাকবে।তিনি বলেন এ ন্যায় বিচারের ফলে ইউরোপে বাংলাদেশীদের সম্মান বেড়েছে  উল্লেখ করে তিনি গ্রীস প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।