আশুলিয়ার সব গার্মেন্টস অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা

    0
    306
    আশুলিয়ার সব গার্মেন্টস অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা
    আশুলিয়ার সব গার্মেন্টস অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা

    ঢাকা, ১৪ মে : আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা আজ মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতির ঝিলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে নিরাপত্তার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এর ফলে বন্ধ সময়ে কোনো বেতন পাবেন না শ্রমিকরা।
    জানা যায়, এর আগে বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও কর্মস্থলে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সকালে আশুলিয়ায় বিক্ষোভরত শ্রমিকরা প্রায় ১ ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা কয়েকটি কারখানায় ইট ছোড়ে এবং ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। লাঠিপেটা করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশকিছু শ্রমিক আহত হয়েছে।
    তারও আগে একই দাবিতে গত রবিবারও আশুলিয়ায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে শতাধিক কারখানায় ছুটি দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ তাদের কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
    অপরদিকে শ্রমিক বিক্ষোভের আশঙ্কায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টসগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শ্যামলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪ এলাকার গার্মেন্টসগুলোর সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মিরপুর ১৪ নম্বরে জলকামানসহ পুলিশ বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। এ এলাকার এমবিএম গার্মেন্টস বন্ধ রাখা হয়েছে। এলাকায় বেশ কয়েকজন শ্রমিককে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এমবিএম গার্মেন্টসে মোট দুই হাজার ৭০০ শ্রমিক থাকলেও বেতন বাড়ানো হয়েছে মাত্র ১২/১৩ জনের।
    এ প্রসঙ্গে এ গার্মেন্টসের আয়রনম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, এ কারখানায় আমরা কাজ করি দুই হাজার ৭০০ জন। অথচ বেতন বাড়ানো হয়েছে মাত্র ১২/১৩ জনের। কিন্তু আমাদের বেতন কি কারণে বাড়েনি, জানি না। আমাদের বেতনও বাড়াতে হবে। কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, এ এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।