আল্লাহর রহমতে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে নাঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    233

    আমারসিলেট24ডটকম,৩০নভেম্বরঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারছে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের কোনো মানবিকতা নেই। ক্ষমতার জন্য তারা উন্মাদ হয়ে গেছে। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কতগুলো মন্ত্রণালয় চান? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চাইলেও দিতে রাজি। আসুন নির্বাচনে আসুন। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা “সর্বদলীয়” সরকারে যোগ দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান আবারো জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক নমনীয় হয়েছি। আসলে উনি (খালেদা) ইলেকশনই চান না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।  বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সর্বদলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।
    নির্বাচন কমিশন আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে। তা প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দল নির্বাচন বয়কটের পাশাপাশি তা প্রতিরোধের ঘোষণাও দিয়েছে। যতই চেষ্টা করুক, আল্লাহর রহমতে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। দেশে অসাংবিধানিক ধারা চলবে না, আসতে দেব না।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাসের ভেতর আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে, যাত্রীসহ সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। এমনকি তারা হেফাজত ও জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে কোরআন শরিফও পুড়িয়েছে। যারা মানুষ পোড়ায়, কোরআনে আগুন দেয়, তারা ধর্ম কীভাবে বিশ্বাস করে?
    বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কেন এভাবে পুড়িয়ে মানুষ মারবে? এতে তিনি কী পাচ্ছেন, কী লাভ হচ্ছে?’
    প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি নিজে তাকে রেড ফোনে কল করেছি। আমি তাকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। আসলে উনি নির্বাচন চান না। তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করি, জনগণের গণতন্ত্রায়নে বিশ্বাস করি।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (বেগম জিয়া) আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দিলেন। একদিকে মামলা দিলেন অন্যদিকে যেদিন আমি শোকে কাতর সেদিন তিনি ফুর্তি করেন। এত কিছুর পরেও আমি তাকে বার বার ফোন দিয়েছি। কথা বলতে চেয়েছি। আমি তাকে দাওয়াত দিয়েছি। বলেছি আসুন আলোচনা করি। আমি বললাম, হরতাল দিয়েন না। কারণ ওই দিন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। তিনি বললেন হরতাল দেবেনই। কেক তিনি কাটবেই। তারপরও তিনি হরতাল দিলেন। হরতালে কী হলো, ২০ জন মানুষকে হত্যা করা হলো।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়ে প্রায় ছয় হাজার নির্বাচন হয়েছে, সবগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু তাদের সময়ে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। মাগুরার নির্বাচন কারচুপি করেছে। কিন্তু আমাদের সময়ের সব নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়ে প্রায় ছয় হাজার নির্বাচন হয়েছে, সবগুলো সুষ্ঠু হযেছে। কিন্তু তাদের সময়ে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। মাগুরার নির্বাচন কারচুপি করেছে। কিন্তু আমাদের সময়ের সব নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে।
    এসময় সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।