আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোচ্ছে : স্টিফেন জে র্যাপ

    0
    207
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোচ্ছে : স্টিফেন জে র্যাপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোচ্ছে : স্টিফেন জে র্যাপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত

    ঢাকা, ১৫ মে : বাংলাদেশে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোচ্ছে। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকায় সফররত র্যাপ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল-১ এবং ২ এর দুটি এজলাসকক্ষে ঢুকে বিচারিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন তিনি। এরপর তিনি প্রসিকিউশন, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
    যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাপ বলেন, এটি মোটেই কাম্য নয়। আইন তার নিজস্ব গতি চলবে। আইনকে হাতে তুলে নেয়া ঠিক না। যে কোনো বিচার হয় সাক্ষ্য প্রমাণ এবং আইনের মাধ্যমে। বিচার প্রক্রিয়া কোনো ভোটের বিষয় নয় যে, প্রত্যাখ্যান করতে হবে। বিচারিক বিষয়টি বিচারিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। রায়ের পরে সহিংসতা কাম্য হতে পারে না।
    বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন র্যাপ বলেন, বিচার প্রক্রিয়া এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে এগোচ্ছে। আসামিপক্ষের যদি কোনো বিষয়ে আপত্তি থাকে তাহলে আপিল করতে পারবেন। আপিল বিভাগে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখনও পুরো বিচার শেষ হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, এর আগে তিন বার ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছি আমি। ২০১১ সালে আইনের বিষয়ে কিছু সংশোধনীর কথা বলা হয়েছিল, যার কিছুটা কার্যকর হয়েছে। বাকিটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
    ট্রাইব্যুনালে আসার আগে র্যাপ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি প্রত্যক্ষ করতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যান। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে আপিল বিভাগের এজলাসকক্ষে যান তিনি। তিনি ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৫ মিনিট আপিলের শুনানি প্রত্যক্ষ করেন।