আজ থেকেই শেষ হতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা

    0
    232

    আমারসিলেট24ডটকম,০৩জানুয়ারীঃ আগামী রবিবার ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই শেষ হতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। গত বুধবার জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) আলোকে নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রের নির্দেশনায়- আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার সময়। প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকবে ভোট গ্রহণের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত। এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেয়া ছয়টি দলের প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
    গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৮ ধারা অনুযায়ী, ভোট গ্রহণ শুরুর সময় থেকে পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। দশম সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে ৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল আটটায়। সে হিসাবে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। তবে সাধারণত প্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিকভাবে আজ মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে থাকেন।
    নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশের ৫৯টি জেলার ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৮৯ জন প্রার্থী। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ১২টি দল। ১৪৭টি আসনের মোট ভোটার সংখ্যা চার কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৮ হাজার ২০৯ এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯১ হাজার ২১৩। ১৪৭টি আসনে একজন করে বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
    এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। তিনি জানান, নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য কমিশন বৃহস্পতিবার  বেলা সাড়ে তিনটায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
    অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, ১২টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলেও শুধু ছয়টি দলের প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পাননি। কিসের ভিত্তিতে বাকি ছয়টি দলকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না, সে সম্পর্কে কমিশন সচিবালয় থেকে কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী না থাকায় তাদের সুযোগ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় ছয়টি দল এ সুযোগ পাননি।
    ভাষণ দেয়ার সুযোগ পাওয়া ছয়টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪০ মিনিট, জাতীয় পার্টি ২০ মিনিট এবং জাতীয় পার্টি- জেপি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিএনএফ ১৫ মিনিট করে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেয়েছে।  ভাষণ দেওয়ার সুযোগ না পাওয়া দলগুলো হলো গণতন্ত্রী পার্টি, আসন ১টি; ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, আসন ৬টি; বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, আসন ৩টি; গণফ্রন্ট, আসন ১টি; বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, আসন ১টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আসন ২টি।