একতরফা নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা না করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
সিপিবি সভাপতি সরকারের উদ্দেশে বলেন, “একতরফা নির্বাচন করার ‘আহাম্মকি’ চিন্তা বাদ দিন।
“সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা য়ায়, সে ব্যাপারে সমাধান খুঁজে বের করুন।”
তবে আলোচনার আগে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে বিএনপির প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে সিপিবি সভাপতি বলেন, “কোনো কোনো বিদেশি বন্ধু বাংলাদেশকে উদার ধর্মীয় রাষ্ট্র বানানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলেন। পাকিস্তান আমলেও তারা এমন ভূমিকা রেখেছিলেন।”
সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় আরো বিচক্ষণ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিপিবির নেতা বলেন, “ফাঁদে না পড়ে বিচক্ষণ হয়ে পথ চলুন।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলেন তিনি।
“পাকিস্তান সেনাবাহিনী যেমন এ দেশে ক্যান্টনমেন্ট করতে পারে না, তেমনি জামায়াতের কোনো অফিসও এদেশে থাকতে পারে না। বাংলাদেশে তাদের নিষিদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে।
ইনস্টিটিশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি।
সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টি(জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রমুখ।
হরতালে গাড়ি পোড়ানো বন্ধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেন সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজ রশীদ।
তিনি বলেন, “এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন, তারা সবাই জীবনে বহু হরতালে অংশ নিয়েছেন। তবে কেউ গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ মেরেছেন এমন নজির নেই।”
দেশে সবার জন্যেই আইনের প্রয়োগ সমান হওয়া উচিত দাবি করে তিনি বলেন, “গাড়ি ভাংচুর করলে ১২ বছরের জেল, আর হরতালে গাড়ি ভাংচুর করলে কোনো শাস্তি নেই- এটা কেমন কথা।
“দেশে এমন আইন হওয়া দরকার, যদি হরতালে গাড়ি ভাংচুর বা জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি হয়, তবে তার দায় হরতাল আহ্বানকারী দলকে নিতে হবে।”