বেনাপোল কাস্টমস এ ৩১ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায়

    2
    389

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫মার্চ,এম ওসমানঃ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল । এ বন্দর দিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসছে আমদানি-রফতানি বানিজ্যের গতিশীলতা। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। তবে অফিসারদের কাজের প্রতিদায়ীত্ব বৃদ্ধি, চোরাচালান রোধসহ বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনা দুর করতে পারলে রাজস্ব আদায়ের পরিমান কয়েক গুন বেশি হবে বলে মনে করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

    দেশের চাহিদার অধিকাংশ পণ্যই এই স্থলপথে আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ কোটি ৩০ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ অর্থ বছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৫৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ১৫৬৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। কাস্টম সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

    এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৯৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগস্টে ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২০১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অক্টোবরে ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আসে ১৬৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। নভেম্বরে ১৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয় ২১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ১৯৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং জানুয়ারী (২০১৫) মাসে ১৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৭২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

    ফেব্রুয়ারী মাসে ২১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, লাগাতার অবরোধ আর দফায় দফায় হরতালের কারণে গেল মাসে বেনাপোল কাষ্টমস হাউস রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি। অবরোধ হরতাল কেটে গেলে বন্দর রাজস্ব আদায়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

    তবে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দাবিকৃত ক্লিয়ারিং হাউস চালু হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কয়েকগুন বাড়বে। তিনি আরো বলেন, রাসায়নিক পরীক্ষা ও আমদানিকৃত পণ্যের ওপর কাস্টম কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত লোড না চাপালে রাজস্ব আদায় বাড়বে কয়েকগুন। সবার আন্তরিকতা থাকলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের গতিশীলতা যেমন বাড়বে তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।

     বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান জানান, এ বন্দর দিয়ে কাঁচা ফল-মুল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ, বেনাপোল স্থলবন্দরের নানা বিড়ম্বনা, অনৈতিক সুযোগ গ্রহণ, ইক্যুইপমেন্ট সমস্যা, চুরিরোধসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়লে আমদানি-রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়বে রাজস্ব আদায়ও।

     বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার মোঃ আতিকুর রহমান জানান, দেশের লাগাতার অবরোধ হরতাল অব্যহত থাকলে আগামীতে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরণের ধস নামবে। আর যদি বর্তমান সমস্যা দ্রুত কেটে যায় তাহলে রাজস্ব আদায় আবার গতিশীলতা ফিরে পাবে।