‌শার্শা-বেনাপোলে ৯৫ভাগ হোটেল-রেঁস্তোরায় আর্সেনিকযুক্ত পানি

    0
    356

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯জানুয়ারী,এম ওসমান, বেনাপোলঃ শার্শা ও বেনাপোলের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল, রেঁস্তোরা ও চায়ের দোকানে খাওয়ানো হচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি। যাহা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক পদার্থ। যা মানুষকে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সারাদেশে যখন আর্সেনিক মুক্ত পানি ব্যবহারের জন্য প্রচার-প্র চরনা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। তখনও শার্শা-বেনাপোলের প্রায় ৯৫ ভাগ হোটেল-রেঁস্তোরা, চায়ের স্টল ও ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি। আইনগত কোন ব্যবস্থা না নেয়ার ফলেই তারা সব বয়সের মানুষকে খাওয়াচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি।

     উপজেলার শার্শা, নাভারণ, বেনাপোল, বাগআঁচড়া বাজার ছাড়াও ছোট বড় বাজার মিলে প্রায় ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০টি হোটেল, প্রায় ১শ’ টি মিষ্টান্ন ভান্ডার, সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার চায়ের দোকান। যেখানে   প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে কয়েক লাখ লিটার পানি। প্রশাসনের অবহেলা, সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাব, জনগণের অসচেতনতা, এর কুফল সম্পর্কে প্রচারণা কম এবং আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলগুলোতে রেড এলার্ট না করা এর মূল কারণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

    কয়েকজন দোকান মালিক বলেন, আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল ব্যয় বহুল, অধিকাংশ হোটেল-রেঁস্তোরার ব্যবসা দোকান ভাড়া নিয়ে করা হয়। প্রশাসনিক কোন বাধা না থাকায় আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনা। এ ক্ষেত্রে সাধারণ টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়। কিভাবে এর ব্যবহার কমানো যায় এমন প্রশ্নে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, হোটেল-রেঁস্তোরায়, চায়ের স্টল, ফাস্ট ফুড ও অন্যান্য খাবারের দোকানে আর্সেনিক সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা নেই, সরকারি পর্যায়ে এর কুফল ও প্রভাব বিষদ ভাবে প্রচারণা করে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। তাহলে এর ভয়াবহতা অনেক ক্ষেত্রে কমে আসবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন সদস্য এ সম্পর্কে কোন খোঁজ রাখেন না। বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব হোটেল-রেঁস্তোরার সঠিক সংখ্যাও জানেন না তারা। উপজেলাতে কতগুলো হোটেলের লাইসেন্স আছে জানা নেই কর্মকর্তাদের। কতদিনে এই দৈন্যদশা থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ? এমন প্রশ্ন আজ অনেকের।

    শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ইনচার্জ ডাঃ মনজুরুল মোরশেদ আর্সেনিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, আর্সেনিক অত্যন্ত মারাত্মক একটি বিষ। আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহারে মানুষের দেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। আর্সেনিকের কুফল আরো বিষদ ভাবে মানুষকে জানানো প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে যত বেশি সম্ভব প্রচার-প্রচারনা চালানো ও যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল-রেঁস্তোরা গুলো আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।