‌বেনা‌পো‌লে জিকা ভাইরাস প্র‌তি‌রো‌ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা

    0
    292

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪ফেব্রুয়ারী,এম ওসমান,বেনাপোল: দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস হাউ‌সে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের জিকা ভাইরাস আক্রান্ত বিদেশি কোনো যাত্রী আসছেন কিনা সে ব্যাপারে খোজ খবর নি‌তে দেখা গে‌ছে।
    সূ‌ত্রে জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকা থে‌কে উৎপ‌ত্তি হওয়া জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমাঞ্চল সহ বি‌ভিন্ন অঞ্চল। ফ‌লে ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের প্রায় চারশ’ বিদেশি যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট ইমি‌গ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে প্র‌বেশ ক‌রেন। এসব যাত্রীর কেউ যদি এ ভাইরাস আক্রান্ত থা‌কে, ত‌বে তার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ আশঙ্কা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করেছে বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ।

    ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন দেশের ৮৬৫ জন নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন। তার মধ্যে ভারতের ৮১৯ জন,   ইন্দোনেশিয়ার ১০ জন, অস্ট্রেলিয়ার ৪ জন, শ্রীলংকার ১ জন, বেলারুসের ২ জন, ব্রিটিশ ১ জন, মালয়েশিয়ার ১০ জন, আমেরিকার ৮ জন, ক্যানাডার ৯ জন, ও ইতালির ১ জন নাগ‌রিক রয়েছেন।

    বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, বিদেশিযিাত্রীরা নোম্যান্সল্যান্ড ক্রস ক‌রে চেক‌পোস্ট  ইমিগ্রেশন‌েপ্রে‌বেশ কর‌লেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

    বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার যতিস রায় জানান, এর আগে ইবোলা ও সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করেছে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নতুন করে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশনা পাওয়ায় এ বিষয়ে নজরদারী বাড়িয়েছেন তারা। ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভারতথেকে আসা বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের তালিকা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা তালিকা অনুযায়ী যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানিং মেশিনে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।

    জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে ছ‌ড়ি‌য়ে পড়া এডিস এজিপ্টি নামে এক প্রজাতির মশকির মাধ্যমে বাহিত জিকা ভাইরাসের কারণে মায়ের পেট থেকেই নানা সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয় শিশু। যার কোনো চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।