“৯৬ও০১ এর উপদেষ্টা থেকে ১০ জনের প্রস্তাব বিএনপির

    0
    249

    “অতীতে বা বর্তমানে যারা তার এবং তার পরিবার সম্পর্কে নানাভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, তাদের সবাইকে আমি ক্ষমা করে দিলাম”বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।

    আমার সিলেট  24 ডটকম,২১অক্টোবর১৯৯৬ ও ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনকে বেছে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আজ সোমবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নাম দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান। সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর দেশবাসী অপেক্ষায় ছিল এ বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মত জানার জন্য। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অস্পষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছে।

    আজ সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন,বিগত ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০জন উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ২০ জন থেকে আওয়ামী লীগ পাঁচ জন এবং বিএনপি পাঁচ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এছাড়াও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে ওই সরকারের প্রধান করা হবে। সাংবিধানিক প্রয়োজনে তাদেরকে এ সংসদে নির্বাচিত করে আনা যেতে পারে, যেভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করা হয় সেভাবে।
    সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বর্তমান সরকারের আমলে সংঘটিত দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। দেশের বর্তমান অবস্থানে অসহনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন জাতীয় ঐক্য সংহত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সকলে মিলে গড়তে হবে জাতীয় ঐক্য। অখণ্ড জাতীয় সত্তা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো বিকল্প নেই।
    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে অতীতে ফিরে গিয়ে আমাদের সরকার সম্পর্কে অসত্য কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক কুৎসা রটনা করেছেন। আমি এর পাল্টা বক্তব্য দিতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে বিস্তর তথ্য থাকা সত্ত্বেও আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি, সুরুচিবান মানুষ তা শুনতে চান না। আমাদের এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। চিন্তার বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানিয়ে ভিন্নমতকে স্বাগত জানানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানোর সময় এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি  চেয়ারপার্সন বলেন, আজ আমি সে পরিবর্তনের আহ্বান নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন,