৮১বছর বয়সে প্রবীণ অর্থমন্ত্রীর ৯ম বারের মত বাজেট উপস্থাপন

    0
    235

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪জুনঃ ৮১ বছর বয়সী প্রবীণ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নবম বারের মত ১০ম জাতীয় সংসদে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন। আগের বছরের মাতো এবারও তিনি পাওয়ার পয়েন্টে বাজেট উপস্থাপন করছেন। তার বাজেট  বক্তৃতার শুরুতেই তিনি ২০১৫৪-২০১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট উপস্থাপন করেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদের ২য় বাজেট এবং নিজের ক্যারিয়ারের টানা ৭ম বারের মতো পেশ করছেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল রেকর্ডও গড়েছেন ৮১ বছর বয়সী প্রবীণ এ মন্ত্রী।

    এর আগে স্পিকার ড. শীরিন শারমীন চৌধুরীর সভপতিত্বে শুরু হয় আজকে সংসদের কার্যক্রম।ক্ষ এদিকে বাজেট উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত বেগম রওশন এরশাদও সংসদে উপস্থিত রয়েছেন। তার আগে জাতীয় সংসদের মন্ত্রীসভা কক্ষে মন্ত্রীপরিষদের বিশেষ বৈঠকে নতুন অর্থবছরের জন্য বাজেট অনুমোদন করা হয়।
    আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০০৯ সাল থেকে টানা ৭ বছর ধরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এ রাজনীতিবিদ। তৎকালীন ভারতের শ্রীহট্ট বর্তমানে সিলেট জেলায় ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৬৩ সালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
    বেশ দাপটের সাথে শুরু করেন কর্মজীবনও। ১৯৬০ থেকে-১৯৬৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে। ১৯৬৯ সাল যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসের অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে। পাকিস্তান কর্ম পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপ-সচিব থাকা অবস্থায় তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য প্রতিবেদন আকারে পাকিস্তান কংগ্রেসে পেশ করেন।
    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকোনমিক কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব এবং ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহি:সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত।
    ১৯৮২-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন মুহিত। পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন তিনি। সিলেট-১ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এ রাজনীতিবিদ।
    ৯ম জাতীয় সংসদের সব কয়টি বাজেটই প্রণয়ন করেন মুহিত। ১০ম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এই নেতা। আজ আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদের ২য় বাজেট সংসদে পেশ করবেন প্রবীণ এ নেতা। তিনি তার বাজেট বক্তৃতার শুরুতেই ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ইতিহাসের মহানায়কদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। একই সাথে বিগত সময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনেরও সমালোচনা করেন।