৮টি বগির পাঁচটিই পুড়ে গেছে,আহত কমপক্ষে-২৫

    0
    270

    বি-বাড়িয়ার ঘটনার পর পর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ লাইনচ্যুত ৮টি বগির মধ্যে পাঁচটি আগুনে পুড়ে গেছে। আতঙ্কিত ট্রেনের যাত্রীরা দ্রুত জানালার কাচ ভেঙে এবং দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন রেলকর্মীও রয়েছেন।

    আহতদেরকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ও উল্লাপাড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো যাত্রীর মৃত্যুর খবর  পাওয়া যায়নি।

    সিরাজগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক মঞ্জিল হক জানান, দুর্ঘটনার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার নাদির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পরে প্রথমে রংপুর এক্সপ্রেসের উল্টে যাওয়া ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। আগুন দ্রুত পাশের বগিগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ৩টি বগির ৬০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ২টি বগি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলপথের ত্রুটির কারণে এবং সিগন্যাল ভুলের কারণে ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তবে উল্লাপাড়া স্টেশনে দায়িত্বরত সহকারী স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম সিগন্যাল ভুলের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, রেলপথের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় ট্রাফিক কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে উল্লাপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের কয়েকটি বগি দাঁড়িয়ে থাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা পাবনা-বগুড়া ও পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

    উল্লেখ্য, রংপুর মিটার গেজের ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেন বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে লালমনিরহাট যাচ্ছিল। উল্লাপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ের ৫০ মিটার দূরে রেলপথ পরিবর্তনের স্থানে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে লাইনচ্যুত ৭টি বগির মধ্যে দুটি বগি মূল রেলপথ থেকে অন্তত ১৫ মিটার দক্ষিণ দিকে চলে যায়। ট্রেনে মোট ১৪টি বগি ছিল। ঘটনার পরপরই উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দ ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আগুন নেভানো এবং উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। উল্লাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের মালামাল সংরক্ষণের জন্য ট্রেনটি ঘিরে ফেলে।