৭মার্চ বঙ্গবন্ধু গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান জানানঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    196

    “যিনি ১৫ দিনে ঘর থেকে বের হন না তিনি নির্বাচনের আগে ঘন ঘন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেনআমাদের নামে নালিশ করেননালিশ করে কী পেয়েছেননালিশ করে বালিশ পেয়েছেন ,মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার”

     আমারসিলেট24ডটকম,০৭মার্চঃ আজকের এই দিনে “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন” বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল।   আজ শুক্রবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন।  বিকেল ৩ টা ৫ মিনিটে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ শুরু হয়।
    বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যিনি ১৫ দিনে ঘর থেকে বের হন না তিনি নির্বাচনের আগে ঘন ঘন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আমাদের নামে নালিশ করেন। নালিশ করে কী পেয়েছেন। নালিশ করে বালিশ পেয়েছেন। উনি (খালেদা জিয়া ) নির্বাচন ঠেকাতে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা সেগুলো এখন আমরা সংস্কার করছি। তিনি নিজে ছিলেন ফেলু। তাই তিনি চান আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরাও ফেল করুক।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি আন্দোলনের জন্য ঢাকাবাসীকে ডাক দিলেন। গোটা দেশের মানুষকে ডাক দিলেন। কেউ ওনার ডাকে সাড়া দেয়নি। যখন কেউ সাড়া দিলেন না, তখন উনি বোমাবাজি, জ্বালাও-পোড়াও শুরু করলেন।
    বিকেল সোয়া ৩টা থেকে একে একে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল-উল আলম হানিফ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
    সভা পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানী বিভিন্ন ওয়ার্ড ও এর আশপাশের এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
    সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে রাখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।