৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে মধ্য আকাশে শিশু জন্ম !

    0
    376

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯জুন,ডেস্ক নিউজঃ  সৌদি আরব থেকে ভারত যাবার পথে মধ্য আকাশে এক শিশু জন্ম নেয়ায় তাকে আজীবন বিনামূল্যে আকাশ ভ্রমণের সুবিধা দিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ।
    তবে শিশুটি সহজে পৃথিবীতে আসেনি। নির্ধারিত সময়ের আগে শিশুটির মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়।
    বিমানটি তখন ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে, হঠাৎ করেই গর্ভবতী এক নারীর ব্যথা শুরু হলো। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব বেদনা শুরু হলো ওই নারীর। কিন্তু বিমানে নেই কোনো ডাক্তার।
    বিমানের এক ক্রু ও এক যাত্রী নারীটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন। এরা দুজনেই ছিলেন প্রশিক্ষিত নার্স।
    তাদের সাহায্যেই প্রায় ৩৫ হাজার ফুট (১০ হাজার ৬৮৮ মিটার) উঁচুতে মধ্য আকাশে জন্ম নিলো এক শিশু।
    জেট এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৩৭ মুম্বাই পৌঁছানোর পরপরই মা ও শিশুকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
    এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, মা ও শিশু দুজনেই এখন সুস্থ আছে।
    ‘সফলভাবে একটি ছেলের শিশুকে পৃথিবীতে আনতে প্রসবকাজে সহায়তার জন্য’ বিমানের ওই যাত্রী ও কেবিন ক্রুকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ।
    “জীবন বাঁচানোর কাজে কেবিন ক্রুদের যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তা জেট এয়ারওয়েজ আজ প্রত্যক্ষ করলো” এক বিবৃতিতে বলে কোম্পানিটি।
    এই প্রথম জেট এয়ারওয়েজের কোনো ফ্লাইটে শিশু জন্ম নেয়ার ঘটনা ঘটলো।
    এর আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৪২ হাজার ফুট উঁচুতে এক শিশুর জন্ম হয়েছিল।
    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নাফি দায়াবি নামে একজন গর্ভবতী নারী (গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ চলছিল) বিমানে ওঠার পর তার প্রসব বেদনা শুরু হয়।
    এরপর তাকে প্রসবকাজে সহায়তা করেন কেবিন ক্রু এবং কয়েকজন যাত্রী। জন্ম হয় কন্যাশিশু ‘কাদিজু’র। নবজাতক ও মা দুজনেই সুস্থ ছিলেন।
    বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ হবার আগ পর্যন্ত তাদের বিমানে চড়তে কোনো বাধা নেই।

    তবে এক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি দেখাতে হয় যে তাদের গর্ভধারণের কত সপ্তাহ পার হয়েছে। সুত্রঃবিবিসি