৩০গ্রামের মানুষের ভরসা খোয়াই নদীর উপরে এই সাঁকো

    0
    287

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩মে,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ      হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দুই ইউনিয়নের ৩০গ্রামের মাঝখানের খোয়াই নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। একটি বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচলে একমাত্র ভরসা।

    ৩০টি গ্রামের শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষের বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। দুই ইউনিয়নের  গ্রামবাসীর দুঃখের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই সাঁকো।

    সরেজমিন দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের চরনূর আহমদ,লেঞ্জাপাড়া, বড়চর, এতবারপুর, কলিমনগর, আলাপুর, জগতপুর, বাতাশর, রতনপুর, হামুয়া, চর হামুয়া, সুদিয়াখলা, বাগুনিপাড়া এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের উত্তর চর হামুয়া, দক্ষিণ চর হামুয়া, হাতির তান, লস্করপুর, মশাজান, শুলতানশী, নোয়াগাও, বাতাশর, বনগাও, সুঘর, চর হামুয়া, হামুয়া,গঙ্গানগর আদ্যপাশা, কটিয়াদি  গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারাপাড়।

    গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়, কলেজে, মাদরাসায়, যাতায়াত করে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, ওই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক জীবনের তাগিদে ও দৈনন্দিন কাজে যেমন যাতায়াত করে তেমনি উক্ত দুই ইউনিয়নের কৃষক কৃষি কাজের জন্য সাঁকোটি ব্যবহার করেন।

    একদিকে যেমন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তেমনি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা স্বীকার হতে হয় এই সাঁকোতে। স্থানীয় জনতা প্রতি বছরই এই সাঁকো মেরামত করে পারাপারের ব্যবস্থা করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ এবং দৈনন্দিন কর্মসংস্থানের কারণে সাঁকো পেরিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়।

    সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রিসহ রোগীর জরুরি চিকিৎসার জন্য নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এলাকাবাসীর প্রাণের  দাবি এমতবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীর। তাদের দাবি ওই খোয়াই নদীর  ওপর সেতু নির্মিত হলে পাল্টে যাবে নদীর দুই পাড়ের হাজার মানুষের জীবনযাত্রা।

    এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন নির্বাচনের সময় জনপ্ রতিনিধিরা প্রতিশ্র্রুতি দিলেও নির্বাচন শেষ হলে তা বাস্তবায়ন করে না। হয়নি তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় এই বাঁশের সাঁকো স্থাপন করে। চর হামুয়া  গ্রামের রফিক আলী বলেন, আমাদের চাষাবাদের জমিসহ খোয়াই নদীর ওপারে হওয়ায় এই সাঁকো দিয়ে ফসল আনা-নেয়া করতে হয়। প্রতিদিনই এখান দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে স্কুলে যাতায়াত করে।

    উত্তর চর হামুয়া  গ্রামের শফিক মিয়া জানান, এই বাঁশের সাঁকো দুই ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের মানুষ দুঃখ প্রকাশ করেন। ছোটবেলা থেকেই দেখছি খোয়াই নদীতে বন্যার সময় নৌকা পারাপাড় এবং  কম পানিতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে চলতে হয়েছে। কবে চরহামুয়া এলাকায় খোয়াই নদীতে ব্রিজ হবে তা জানি না। ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে উভয় ইউনিয়নের লোকজনই উপকৃত হবে।