৩টি চক্রের কবলে পড়ে লাল শাপলা হারিয়েছে জৈন্তার ৪টি বিল

    0
    393

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬নভেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:  সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে সাজিয়ে উঠা লাল শাপলার রাজ্যের ৪টি বিল চেরাকারবারি, ভূমিখেকু, মৎস্য খেকুদের কবলে পড়ে হারিয়েছে যৌবন। ফিরে যাচ্ছে সৌন্দর্য্য পিপসুরা। স্থানীয়দের দাবী ভূমিখেকু, মৎস্যখেকু এবং চোরাকারবারীদের টেকাতে পারলে বিল গুলো প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য ফিরে পাবে।
    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওর এলাকার লাল শাপলার রাজ্যের চেরাকারবারি, ভূমিখেকু, মৎস্য খেকুদের কবলে পড়ে “ইয়াম বিল, হরফকাটা বিল, কেন্দ্রী বিল ও ডিবি বিল”। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ ৪টি বিল মিলে প্রায় ৯শত একর জায়গা জুড়ে প্রতি বৎসর প্রকৃতিক ভাবে লাল শাপলায় ভরে উঠে। ফলে এলাকায় লাল শাপলার রাজ্যে হিসাবে পরিচিতি পায়।

    এদিকে বেসরকারি কয়েকটি টিভি চ্যানেল, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের দূর দুরান্ত হতে বিগত বৎসরে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নেমেছিল বিলগুলোতে। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদুর রহমানের আমলে বিশেষ অর্থনৈতিক অ ল করার নামে এলাকাটি চিহ্নিত করা হলে ভুমি খেকুদের তৎপরতা বৃদ্ধিপায়। এরই প্রতিবাদে তৎকালীন সময়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ পরিবেশ বাদীরা গ্রাম ও বিল রক্ষার জন্য সিলেট কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে মানব বন্ধন সহ আন্দোলনে নামলে বিশেষ অর্থনৈতিক অ লের প্রস্তাবনাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে জেলা প্রশাসন।

    কিন্তু প্রকল্প বাতিল করা হলেও প্রভাবশালী এক নেতার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ইশারায় কতিপয় ভূমিখেকু চক্র ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ সিলেটের ডিবিহাওরের লাল শাপলার ৪টি বিল দখল বানিজ্যের মেতে উঠে। পর্যটক বিমুখ করতে এবং নিজেদের ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে বিল গুলোর সৌন্দর্য্য ধ্বংসের জন্য তাদের তৎপরতা অব্যাহৃত রেখেছে।

    চলতি বৎসরের শুরু থেকেই বিল গুলোতে যাহাতে লাল শাপলা তার সৌন্দর্য্য বিস্তার করতে না পারে তাই কৌশল অবলম্বন করে ৩টি চক্র শাপলা বিলে মহিষ নামিয়ে লাল শাপলার গাছ ধ্বংস করছে। পর্যকটদের আনাগোনার কারনে চোরাকারবারীরা তাদের কর্মতৎরতা বাঁধা গ্রস্থ্য হওয়ায় শাপলা ধ্বংসে তৎপর রয়েছে।

    পরিবেশবাদী সংগঠন বিল গুলোর ইজারা বাতীলের দাবী করায় প্রভাবশালী মৎস্য আহরনকারীরা বিল শুকিয়ে লাল শাপলা ধ্বংস করছে। অপরদিকে মৎস্যজীবিদের নামে বিল গুলো লীজ গ্রহন করে চোরাকারবারীরা তাদের বানিজ্যে দেদাছে চালাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান চোরাকারবারীরা প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে না হতে স্থানীয় ডিবির হাওর রাস্তা ব্যবহার করে ভারত হতে মালামাল পাচার করছে। তারা আরও জানান বিল গুলো সীমান্তবতী হওয়ার ফলে চেরাকারবারীরা কৌশলে বিল লীজ গ্রহন করে নেয়।

    বিল পাহারার নামে প্রতিদিন সীমান্তের অপার থেকে মাদক সহ বিভিন্ন পন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের কর্মতৎপরতার কারনে সৌন্দর্য্য পিপাসুরা প্রতিনিয়ত লাল শাপলার বিল হতে ফিরে যেতে হচ্ছে। তারা ভূমিখেকু, মৎস্যখেকু এবং চোরাকারবারীদের বন্ধ করলে ডিবিরহাওর বলোকার ৪টি বিল (ইয়াম বিল, হরফকাটা বিল, কেন্দ্রী বিল ও ডিবি বিল) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ফিরে পাবে বলে আশা ব্যক্ত করে।