২০ শতাংশের বেশি মজুরি বাড়াবে না কারখানার মালিকেরা

    0
    232

    আমারসিলেট 24ডটকম , সেপ্টেম্বর : শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১৯ বা ২০ শতাংশের বেশি বাড়াবেন না মালিকেরা। তাতে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি দাঁড়াবে তিন হাজার ৫৭০ বা তিন হাজার ৬০০ টাকা।

    পোশাক কারখানার মালিকেরা দাবি করছেন, গত তিন বছরের মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের মাধ্যমে ওই পরিমাণ টাকা বাড়ানো হবে। তাঁদের ভাষ্য, গত কয়েক বছরে বিদ্যুত্ ও গ্যাস বিল ৩৫ শতাংশ ও উত্স কর ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলে উত্পাদন খরচ বেড়েছে ১২ শতাংশ। অন্যদিকে বিদেশি ক্রেতারা আগের চেয়ে কম দামে কার্যাদেশ দিচ্ছেন। আবার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করতে তাঁদের বহু টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি কার্যালয়ের নূরুল কাদের মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় পোশাক কারখানার মালিকেরা এসব কথা বলেন। তাঁরা আরও বলেন, পোশাকশ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ শতাংশের বেশি বাড়াতে হলে অনেকেই টিকে থাকতে পারবেন না।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত কিছু নয়। আমরা মালিকদের কথা শুনলাম। আরও আলাপ আলোচনা হবে। বিকেএমইএর সঙ্গে বৈঠক করব। তারপর মজুরি বোর্ডে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হবে।’

    মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সাংসদ টিপু মুন্সী, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আনিসুল হক, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বর্তমান সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহিদুল্লাহ আজিম প্রমুখ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মজুরি বোর্ডের সদস্য ও বিজিএমইএর পরিচালক আরশাদ জামাল।

    গত ২৪ জুন পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণে ছয় সদস্যের মজুরি বোর্ড গঠন করে গেজেট প্রকাশিত হয়। বোর্ডকে ছয় মাসের মধ্যে ন্যূনতম বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বোর্ডের তৃতীয় সভায় শ্রমিক প্রতিনিধির পক্ষ থেকে নিম্নতম মজুরি আট হাজার ১১৪ টাকা দাবি করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর মজুরি বোর্ডের চতুর্থ সভায় পাল্টা প্রস্তাব না দিয়ে দুই সপ্তাহ সময় চায় বিজিএমইএ। বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায় সর্বসম্মতিক্রমে বিজিএমইএকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সভায় প্রস্তাব দিতে বলেন।