২০%মহার্ঘ্য ভাতাও পে কমিশনের ঘোষণা করলঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    226

    আমারসিলেট 24ডটকম,০৬অক্টোবর:প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এককালীন ২০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনের তিন মাস বাকি থাকতে এ ঘোষণা দেয়া হলো। আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন ও পেশাজীবীদের অধিকার রক্ষার দাবিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
    সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০% মহার্ঘ্য ভাতা দেব। এখানে সর্বনিম্ন দেড় হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা (বাড়বে)। পাশাপাশি আমরা পে কমিশনের ও  ঘোষণা করছি। তবে পে কমিশনের সঙ্গে এ মহার্ঘ্য ভাতার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। এটা সম্পূর্ণ এককালীন, আলাদাভাবে দেয়া হবে। ইচ্ছা আছে স্থায়ী কমিশন করে দেব যাতে বেতন ধারাবাহিকভাবে বাড়তে পারে।
    শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মূল শক্তি নারী তাদের তেঁতুল তত্ত্ব দেয়ার মাধ্যমে ঘরের ভেতরে ঢোকানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ তেঁতুল তত্ত্ব বাস্তবায়ন করে নারীদের ঘরে পাঠাবে, যেন দেশের উন্নয়ন আর  না হয়। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ, আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদ-জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ। দেশের মুক্তিযুদ্ধসহ মানুষের অধিকার আদায়ের সব আন্দোলন-সংগ্রামে পেশাজীবীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে,আমরা তাদের শ্রদ্ধা জানাই। জাতির পিতা একাত্তরের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। সে সময় এদেশের পেশাজীবী আইনজীবী, প্রকৌশলীরা একযোগে কাজ করেছিলেন।

    বঙ্গবন্ধুকে পেশাজীবীরা সহায়তা করেছিলেন বলেই স্বাধীনতার পর দেশ গড়া সম্ভব হয়েছে। এত দ্রুত সেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর সড়ক-ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ সব বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের শিক্ষক, প্রকৌশলীরা কাজ করেছিলেন বলেই এতো অল্প সময়ে দেশ গড়া সম্ভব হয়েছিল। দেশের প্রতি আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না এবং পেশাজীবীরা সে দায়িত্ববোধ দেখিয়েছিলেন। মানুষের দেশের প্রতি অদম্য ভালোবাসার কারণেই জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ গড়া সম্ভব হয়েছিল।
    শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে বিকৃত করা হয়েছে। ২১ বছর পর আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মহান মুক্তি সংগ্রামের প্রকৃত বিজয়ের ইতিহাস, গৌরবগাঁথা এবং লাখো শহীদের আত্মদানের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা চালাই এবং সমর্থ হই।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সব সময় স্বপ্ন ছিল, এশিয়ায় একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবেন, এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলবেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সেই আশা ও স্বপ্ন ধূলিসাৎ করা হয়। তারপর জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেই খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা ও প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। খুনিদের দিয়ে দেশ চালানোর কারণে দেশ এগোতে পারেনি।