১৬ডিসেম্বর থেকে সিমকার্ড গ্রাহককে পুনর্নিবন্ধনে ফিঙ্গার প্রিন্ট

    0
    365

    বর্তমানে সক্রিয় ১৩ কোটি সিমকার্ডই পুনর্নিবন্ধনের আওতায় আসবে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১অক্টোবরঃ বর্তমানে সক্রিয় ১৩ কোটি সিমকার্ডই পুনর্নিবন্ধনের আওতায় আসবে। আগামী ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সব সিমকার্ড গ্রাহককে পুনর্নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এর আগে ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হবে।

    বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছেন ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের সংগঠন অ্যামটবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর।তবে সিমকার্ড পুনর্নিবন্ধনকে বিপুল কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে এ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

    প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, পুনর্নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

    দীর্ঘসূত্রতার কারণে আগের মতো এবারও সিমকার্ড পুনর্নিবন্ধন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যামটব মহাসচিব বলেন, “দীর্ঘসূত্রতার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে ১৩ কোটি গ্রাহকের পুনর্নিবন্ধন সঠিকভাবে শেষ করতে পর্যাপ্ত সময় দিতেই হবে।”

    সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক ও সিটিসেলের গণসংযোগ বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

    অ্যামটব মহাসচিব জানান, ২০১২ সালের আগে বিটিআরসির নীতিমালা অনুযায়ী একাধিক ধরনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমকার্ড নিবন্ধন করা হয়েছে। অনেক সিমকার্ডই জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়নি। কিন্তু সেগুলো পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা অন্য কোনো স্বীকৃত পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধন করা হয়েছে। ফলে সেগুলোও অনিবন্ধিত বা অবৈধ নয়। সেগুলো কীভাবে নিবন্ধনের আওতায় থাকবে, সে ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা নেই। একেবারেই অনিবন্ধিত কোনো সিমকার্ড থাকলে তা একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে।

    তবে অ্যামটব মহাসচিব জানান, অনিবন্ধিত সিমকার্ড বন্ধ হলেও পরে সুনির্দিষ্ট গ্রাহক তথ্য দিয়ে তা আবার চালু করা যাবে।নতুন বার্তা