১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্র রমজানকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা

    0
    696
    স্কুলছাত্র রমজান শিকদার (১০)
    স্কুলছাত্র রমজান শিকদার (১০)

    আমারসিলেট 24ডটকম,১০ সেপ্টেম্বর  :  রমজান শিকদার (১০) নামে এক স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। মাত্র ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুজন অপহরণকারী। সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকা থেকে অহপরণ করে শেরপুরের নকলায় স্কুলছাত্রকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয় নকলার একটি ঝোপের মধ্যে। সোমবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ নকলা থেকে ২ জন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ জন অহপরণকারী ও তাদের সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত রমজান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি এলাকার মৃত ইসমাইল শিকদারে ছেলে। সে জালকুড়ি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

    নিহত রমজানের স্বজনরা জানান, রিপন ও হামিদুল সিদ্ধিরগঞ্জে ঘুরে ঘুরে তারা লেপ-তোষক মেরামত ও তৈরির কাজ করতেন। ওই কাজের সূত্রেই তারা জালকুড়ি এলাকায় ইসমাইলের বাড়িতে যান এবং রমজানকে দেখে মুক্তিপণের জন্য তাকে অপহরণের পরিকল্পনা তাদের মাথায় চাপে। এর পর শনিবার স্কুলে যাওয়ার পথে রমজানকে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহরণ করে শেরপুরের নকলায় নিয়ে আসে। রমজানকে অপহরণের পর থেকে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ওই দুই যুবক। এ ঘটনায় শনিবার রাতে রমজানের মামা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জামাল উদ্দিন একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অপহরণকারী রমজানের স্বজনদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু রমজানের স্বজনরা বর্বর অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকা দেয়নি। গত রোববার ভোর থেকে রমজান তার মায়ের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। তখন ধরা পড়ার ভয়ে নকলার চাপাকুড়ি সেতুর কাছে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুজন অপহরণকারী। তারপর ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে চলে যায়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ রোববার রাতে পুলিশ হামিদুলকে আটক করে।

    তার দেয়া তথ্য মতে, পরে আটক করা হয় সহযোগী রিপনকে। তারা দুজন পুলিশকে রমজানের লাশের খবর জানায়। সোমবার সকালে ওই ঝোপ থেকে রমজানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এদিকে অহপরণকারীদের সহযোগী রমজানদের বাড়ির ভাড়াটিয়া হামিদা বেগম, তার ছেলে হাফিজুল ও মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাদরে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন মিয়া স্বীকার করেছেন, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গত শনিবার দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পথে রমজানকে অপহরণ করে নকলায় নিয়ে আসেন। কিন্তু মুক্তিপণের ১০ হাজার টাকা না পেয়ে ও রমজানকে সামাল দিতে না পেরে রোববার ভোরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে চেপাকুড়ি সেতুর কাছে জঙ্গলে লাশ ফেলে রেখে যান তারা।