হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধের দাবিঃমৌলভীবাজার রিকশা শ্রমিক সংঘের

    0
    225

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ডিসেম্বরঃ মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক সংঘের এক সভায় শ্রমিকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রদানের দাবি করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন রিকশা শ্রমিক সংঘের সভাপতি সোহেল আহমেদ।

    জেলা রিকশা শ্রমিক সংঘের নেতা মোঃ জসিমউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃনং চট্টঃ২৩০৫এর সভাপতি মোস্তফা কামাল।

    সভায় রিকশা শ্রমিকদের সমস্যা-সংকট তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন রিকশা শ্রমিক সংঘের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কিসমত মিয়া, বড়হাট আ লিক কমিটির নেতা হরেন্দ্র নায়েক, কালেঙ্গা আ লিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান আলী, গিয়াস মিয়া, খোকন মিয়া, আবাছ আলী, মনা মিয়া, মাহমুদুর রহমান, আব্দুল মিয়া প্রমূখ।

    এছাড়াও সভায় বক্তব্য হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ জসিমউদ্দিন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, দর্জি শ্রমিক সংঘের নেতা মোঃ খোকন সরকার।

    সভায় বক্তরা সম্প্রতি ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের নামে শ্রমিকদের হয়রানি করা করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন কয়েক বছর যাবত শহরের বিভিন্ন শোরূম থেকে নিম্ন আয়ের লোকজন ও রিকশা শ্রমিকরা ঋণ করে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা কিনে রুটিরোজীর চেষ্ঠা করছেন।

    কিন্তু সম্প্রতি ট্রাফিক পুলিশ শহরে এই রিকশা চলতে দিচ্ছেন না। ট্রাফিক পুলিশ শহরে এই রিকশা পেলেই নানাভাবে শ্রমিকদের হয়রানি করছেন। বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন এই রিকশা যদি অবৈধ তাহলে কি করে শোরূম খোলে প্রশাসনের চোখের সামনে তা বিক্রি হলো, এমন কি এখনো বিক্রি হচ্ছে? সভায় এসব সমস্যা সমাধানে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিাপ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ জসিমউদ্দিনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

    সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে কমানো, রিকশা শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রদান, রেশনিং চালু, কথায় কথায় নির্যাতন বন্ধ, স্থায়ী স্ট্যান্ড স্থাপন, শাহমোস্তফা রোড ও কোর্ট রোডের সংযোগস্থলে গোল চত্ত্বর নির্মাণ, ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের পাঁয়তার বন্ধ করা এবং শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম শ্রম-পরিচালকের কার্যালয় স্থাপনের দাবি জানানো হয়।