আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১আগস্ট,ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে জঙ্গি রাশেদ ওরফে র্যাশ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামির এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. ফরিদ মিয়া বলেন, রাত ৯ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত আসামি রাশেদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরআগে দুই দফায় ১১ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আসামিকে গতকাল সকাল ১০ টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে। পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আদালত সূত্র জানায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাশেদ ওরফে র্যাশ হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার আদ্যোপান্ত বলেছে। কীভাবে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, পরিকল্পনা সফল করতে ঢাকায় কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে- সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেছে বলে আদালত সূত্র জানায়। হামলাটি সফল করতে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে কর্মী সংগ্রহের কাজ শুরু করে গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে। এ জন্য বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে কানাডা প্রবাসী তামিম আহমেদ চৌধুরীর যোগাযোগ হয়েছিল। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের অবস্থান জানান দেয়ার জন্য এই হামলার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আসলাম হোসাইন মোহন ওরফে আবু জাররা ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশকে নাটোরের সিংড়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।এ মাসের শুরুতে গুলশান হামলার প্রথম বার্ষিকীতে আলোচিত এই মামলাটির অভিযোগপত্র না দিতে পারার জন্য পলাতক পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে না পারাকে কারণ দেখিয়েছিলেন সিটিটিসি’র প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের খাতায় নাম ছিল- সোহেল মাহফুজ, রাশেদ ওরফে র্যাশ, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান ও হাদীসুর রহমানের। এর মধ্যে সোহেল মাহফুজ, র্যাশ ও বাশারুজ্জামানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেখিয়ে মনিরুল বলেছিলেন, তাদের পেলে হয়ত আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাব।
এরপর গত ৮ জুলাই সোহেল মাহফুজকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানতে পারে, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শিবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত চারজনের মধ্যে বাশারুজ্জামান ও ছোট মিজানও রয়েছেন। বাকি দুই জনের মধ্যে রাশেদ ওরফে র্যাশ গ্রেফতার হলেও হাদীসুর রহমান সাগর এখনও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। গ্রেফতার রাশেদ ওরফে র্যাশ নব্য জেএমবির প্রধান তামিম আহমেদ চৌধুরীর খুব কাছের লোক ছিল।
ইত্তেফাক