হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের আরেকটি রূপ : শাহরিয়ার কবির

    0
    426

    ॥ আবুল কালাম আজাদ সোহাগ ॥  Shahriar-kabir

    যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াতের লোক ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
    রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু গবেষণা ও সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

    সংগঠনের সভাপতি আবদুল খায়ের শাহজাহানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব মনিরুল হক মনির, মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল প্রমুখ।

    শাহরিয়ার কবির বলেন, “যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াতের লোক ঢুকে গেছে। ট্রাইব্যুনালের কোনো নিরাপত্তা নেই।”  
    এ মৌলবাদী গোষ্ঠী বিচার বানচালের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর পর প্রশাসনের সর্বস্তরে জামায়াতীকরণ করেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে সব জায়গায় জামায়াতের লোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন, এখন বাংলাদেশে কারোরই নিরাপত্তা নেই।”
    আমেরিকাসহ চারটি দেশ এ মৌলবাদী গোষ্ঠী জামায়াতকে ক্ষমতায় বসাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
    শাহরিয়ার কবির বলেন, “বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ৭৩টি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করায় তাকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান সরকার ইসলামের নামে মৌলবাদী গোষ্ঠী জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে।”
    ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ সম্পর্কে শাহরিয়ার কবির বলেন, “হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের আরেকটি রূপ। এ জঙ্গিদের লংমার্চের সুযোগ দিলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
    জামায়াত সম্পর্কে সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “শিবিরের শতাধিক জঙ্গি সংগঠন আন্ডারগ্রাউন্ডে আছে।”
    জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবিরের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। যে কোনো সময় সারা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের নিষিদ্ধ করে একযোগে নেতাদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করলে দেশে শান্তি আসবে।”