আমারসিলেটটোয়েন্টিফোর.কম ০৫ সেপ্টেম্বর : রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের গত ৫ মের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অপপ্রচার চালালে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শহীদুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। শহীদুল হক জানান গত ৫ ও ৬ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত হওয়ার সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ও প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
শহীদুল দাবি করেন, ওই দিনের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন হেফাজতে ইসলামের কর্মী। নিহত বাকি সাতজন ছিলেন পথচারী, পুলিশ, ব্যবসায়ী ও গাড়িচালক। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ১২জনের লাশ নিয়ে গেছেন তাদের স্বজনেরা। আর একজনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। কিন্তু পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি বিশেষ মহল এ নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হেফাজতের সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রথমে হেফাজতের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। পরে সরকারের নির্দেশে তাদরে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু হেফাজত তাদের ওয়াদা না রেখে অনুমতির বাইরে অবস্থান পালন করে। তাদের লিখিত ও মৌখিক ওয়াদার বরখেলাপ করেছে। আল্লামা শফি মোনাজাত করবেন দুপুর থেকে লুকোচুরি শুরু করেন রাতে আসার পথে পলাশীর মোড় থেকে অদৃশ্য কারণে ফিরে যান। হেফাজতের সমাবেশ ৫টা পর্যন্ত অনুমতি থাকার পরও তারা সেখানে অবস্থান করায় সেটি আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ হয়ে যায়।
পুলিশ কেন বলপ্রয়োগ করল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল বলেন, হেফাজতের কর্মীরা সব লন্ডভন্ড করছে, আমার থানা আক্রমণ করছে, তখন কি আমরা বসে বসে দেখব? পুলিশের তো অধিকার আছে আত্মরক্ষার। এরপরও পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জান-মালের যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এজন্য তাদের মাইকিং করে শাপলা চত্বর ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এরপর মরণাস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই আতংক সৃষ্টি করে তাদের সরানোর জন্য জলকামান, শটগান, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়।
মানবধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এর রিপোর্টে ৬১ জনের নিহতের তালিকা নিয়ে তিনি বলেন, অধিকার দাবি করেছে ৪০০ জনের বেশি কর্মী দিয়ে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যে তালিকা দিয়েছে তাতে পুলিশের দেয়া ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ঘটনার আগে পরে নিহত ২৬ জনের নাম রয়েছে। বাকি ৩৫ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম ২ বার করে এসেছে, ১৮ জনের কোনো অস্তিস্থই নেই এবং ৪ জন জীবিত রয়েছে।