হাতে বন্দুক,পাশে শ্রমিক,মৌলভীবাজারে কারা ছিলো দখলে ?

    0
    224

    বাগানের জমি উদ্ধারের নামে কোটি টাকার গাছ কর্তন !

    আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের প্রেমনগর চা বাগান উদ্ধারের নাম করে বন থেকে কোটি টাকার গাছ কর্তন করা হচ্ছে। সরকারী মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানীর এ বাগানের ১২ নম্বর সেকশনে শনিবার থেকে গাছ কর্তন করা হচ্ছে।

    সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আকাশমনিসহ নানা প্রজাতের বিশাল গাছগুলো বাগান উদ্ধারের নামে কর্তন করছেন বাগান ব্যবস্থাপক বাহউদ্দীন লিটন। তবে এ গাছ বাগানটি কার দখল ছিল বা কাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সে ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি বাগান ব্যবস্থাপক।

    দখলের বিষয়টি পরিস্কার না করে তিনি বললেন, গাছ কর্তন শেষ হলে এখানে চা প্ল্যান্টেশন তৈরা করা হবে। সরজমিনে দেখা যায়, বাগানে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে বাগানের একপাশে পায়চারি করছেন বাগান ব্যবস্থাপক বাহাউদ্দীন লিটন। আর পুরুষ-মহিলা চা শ্রমিক মিলে গাছ কাটছেন।

    স্থানীয়রা বলছেন, বাগান কর্তৃপক্ষের বনায়নকৃত বিশাল বন জুড়ে এ গাছ বাগানটি চা বাগানেরই। এটা কেউ কখনো দখল করেনি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক চা শ্রমিক নেতা জানান, সরকারী মালিকানাধীন প্রেমনগর চা বাগানে বন উদ্ধারের নামে মোটা অংকের টাকার পাশাপাশি বৃক্ষ লুটের মহোৎসব চলছে। যেখানে বাগান নিজেই মালিক সেখানে কারা দখল করবে।দখলদার কারা?

    এ বিষয়ে এনটিসি বাগানের এমডি আউয়াল সাহেব মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন- আমার জানা মতে বাগানের জায়গা পতিত থাকলে চা শ্রমিকরা সেখানে গাছের চারা বা গাছ লাগায়। আবার শ্রমিকরা প্ল্যান্টেশনের সময় জায়গা বাগানকে দিয়ে দেয়।

    প্রেমনগর চা বানের ব্যবস্থাপক বাহাউদ্দীন লিটন একটা ভিডিওতে বলেছেন র্দীঘ ১২ বছর পর এই জায়গা উদ্ধার করেছেন। তার এমন দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাগানের এমডি বলেন, উদ্ধারের বিষয়টি আমার জানা নাই।

    এবিষয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান বলেন “বাগানে কাদের জমি কারা দখলে ছিলো কারা আবার পুনঃ উদ্ধার করেছে সেটা আমরা ভালো ভাবে দেখবো তাছাড়া প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে এভাবে যাওয়া টিক না আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

    জমি উদ্ধারের বিষয়টি খোদ এমডিই যেখানে জানেন না সেখানে বাগান ব্যবস্থাপকের জমি উদ্ধারের গল্প শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো, এমনটাই মনে করছেন চা শ্রমিকরা।