হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের খতিব কর্তৃক প্রিয় নবীর শানে কটূক্তিপূর্ণ

    0
    309

    বক্তব্যের প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংবাদ সম্মেলন 

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩জানুয়ারী,মুহাম্মদ ফয়সাল শরীফঃ  চাঁদপুর হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের খতিব মুফতি আঃ রউফ কর্তৃক প্রিয় নবীর শানে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে হাজীগঞ্জে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ-কিয়াম ও প্রিয় নবী (দঃ) যে ইলমে
    গায়েব জানেন এ নিয়ে খতিব আঃ রউফ কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেয়ায় ওলামায়ে আহলে সুন্নাত এ বিষয়ে তাকে বাহাসে বসার আহ্বান জানালে বার বার তিনি সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মোহাম্মদ মনির। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল-কাদেরীর স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ আব্দুর রাহীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদেরী, আলীগঞ্জস্থ হযরত মাদ্দাহ্ খাঁ (রঃ) মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদের খতিব মুফতি আঃ রব আল-কাদেরী, চান্দ্রা দরবার শরীফের শাহজাদা আল্লামা হুজ্জাতুল্লাহ নকশবন্দী মোজাদ্দেদী, ধেররাস্থ মাদ্রাসায়ে আবেদীয়া মোজাদ্দেদীয়ার সুপার আল্লামা মোহাম্মদ আলী নক্শবন্দী ও প্রভাষক আল্লামা আবুল হাশেম শাহ্ মিয়াজী।

    এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে প্রায় অর্ধশত আলেম এবং হাজীগঞ্জে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় সকল দৈনিক পত্রিকার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আল্লামা মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুসলমানদের ঈমান আকিদা নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি করতে দেয়া হবে না, হাজীগঞ্জবাসী তা সহ্য করবে না। হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের খতিবকে বার বার বাহাসে বসার আহ্বান জানানোর পরও
    তিনি না আসায় বুঝা গেলো তাদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তার ভ্রান্ত আকিদা মানুষ গ্রহণ করবে না। সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা লিখিত বক্তব্যটি নিম্নে তুলে ধরা হলো।

    প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
    ইসলাম একটি শাশ্বত জীবন বিধান। এই জীবন বিধানেই মানুষের জাগতিক ও পারলৌকিক সকল কিছু নিহিত রয়েছে। মহান স্রষ্টা তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবজাতির জন্যে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ‘ইসলাম’কে দ্বীন রূপে মনোনীত করেছেন। মুসলমান হিসেবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের এই ‘দ্বীন’কে ধারণ ও লালন করতে হবে। বিশ্ববাসীর কাছে এই দ্বীন ইসলামের পূর্ণাঙ্গ এবং বাস্তবরূপ হচ্ছে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূত পবিত্র জীবনাদর্শ। একই সাথে তাঁর আসহাবে কেরামের জীবনাদর্শও দ্বীন ইসলামের বাস্তব প্রতিফলন। যা আমাদের জন্য অনুসরণযোগ্য।

    প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
    আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন, ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমাজে নানা মতবিরোধ ও মতানৈক্য রয়েছে। আর সব মতবিরোধ বা মতানৈক্যই সমাধানযোগ্য। আপনারা আরো অবগত আছেন, ইসলামের শুরু থেকে অর্থাৎ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে অদ্যাবধি মুসলমানদের মধ্যে মোনাফিক নামে একটি সম্প্রদায় রয়েছে। যারা বাহ্যিক বেশভূষায় পাক্কা মুসলমান কিন্তু অন্তরে কুফুরীতে ভরপুর। তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআন মাজিদে একখানা স্বতন্ত্র সূরা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু আয়াতে কারীমা রয়েছে, যেখানে তাদের চরিত্র সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের স্থান হচ্ছে জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে। তাদের কাজই হচ্ছে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে বেয়াদবি করা এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
    ঈমানদার মুসলমানরা যখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি প্রশংসা, গুণগান ও ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে কোনো আমল করবে তখনই এই মোনাফিকরা শির্ক, বিদ্আত বলে নানা ফতোয়াবাজি শুরু করে দেয়। এই মোনাফিক সমপ্রদায় কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।

    সাংবাদিক বন্ধুগণ,
    আপনারা লক্ষ্য করছেন, নানা মতবিরোধের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য মতবিরোধ মুসলমানদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায়, তা হচ্ছে মিলাদ ও কিয়াম। অর্থাৎ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণগান সম্বলিত মিলাদ মাহফিল আর এই মিলাদ মাহফিলে নবীজীকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনার্থে ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’ বলে সালাম দেয়া। এই মিলাদ ও কিয়াম জায়েজ কি নাজায়েজ এ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। আর এ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে আলেমদের মধ্য থেকেই। তাই দুই পক্ষের আলেমগণ সহীহ নিয়তে সমাধানের লক্ষ্যে বসলেই এ বিতর্কের অবসান হয়ে যায়।

    জাতির বিবেক সাংবাদিক বন্ধুগণ,
    নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে মিলাদ-কিয়াম জায়েজ। শুধু জায়েজই নয়, অতীব পুণ্যময় এ আমলটি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি প্রেম ভালোবাসার একটি নিদর্শন। কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস এবং ফোকাহায়ে কেরাম তথা মাজহাবের ইমামগণের মতে মিলাদ-কিয়াম জায়েজ এবং উত্তম একটি আমল। একইভাবে নবী করিম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নূরের সৃষ্টি এবং তিনি যে ইলমে গায়েব তথা অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী তাও ইসলামী দলিল সম্মত। আর এই অদৃশ্য জ্ঞান তথা ইলমে গায়েব মহান রাব্বুল আলামিনই তাঁর হাবিবকে দান করেছেন। এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য যেমনি কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসে রয়েছে তেমনি ফোকাহায়ে কেরামের কিতাবাদিতেও রয়েছে। এসব মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করারই নামান্তর। এসব বিষয়ে ওহাবী ও মওদুদীবাদীরা মনগড়া ফতোয়াবাজি করে থাকে। কিন্তু তারা কখনো এসব বিষয়ে সুন্নী আলেমদের সাথে সঠিক সমাধানের লক্ষ্যে বাহাস-মোবাহাসায় বসতে চান না, এমনকি অতীতে দেশের কোথাও কোথাও বাহাসে বসলেও তারা (ওহাবী পন্থী) পরাজিত হয়েছেন। চাঁদপুরেও গত বছরের জুলাই মাসে তারা সুন্নী আলেমদের সাথে মিলাদ-কিয়াম ও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নূরের সৃষ্টি তা নিয়ে বাহাসে বসবেন বলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তারা (ওহাবী-কওমী আলেমরা) দূরে সরে যান। হাজীগঞ্জেও তেমন একটি ঘটনা ঘটল।

    সাংবাদিক বন্ধুগণ,
    গত ০৫/১২/২০১৫ খ্রিঃ হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামের একটি বাড়িতে ইছালে ছাওয়াবের মাহফিলে মিলাদ অনুষ্ঠানে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের খতিব মুফতি আঃ রউফ। সেখানে অনেক আলেমসহ শত শত মুসলিম সামনে মিলাদ-কিয়াম করলেও মুফতি আঃ রউফসহ তার অনুসারী ক’জন কেয়াম না করে বসে ছিলেন। কিয়াম শেষে মুনাজাতের আগে মুফতি আঃ রউফ মিলাদ-কিয়ামের বিরোধিতা করে নানা যুক্তি দেখিয়ে তিনি এটিকে শির্ক-বিদ্আত বলে ফতোয়া দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তিনি সেদিন তার বিতর্কিত আলোচনায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইলমে গায়েবের বিষয়টি নিয়ে আসেন। যদিও মিলাদ-কিয়াম ও ইলমে গায়েব পৃথক ভিন্ন দুটি বিষয়। তখন সে মজলিশে উপস্থিত সুন্নী আলেমদের পক্ষে হাফেজ মাওঃ জুনায়েদ সাহেব মুফতি আঃ রউফকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হুজুর আপনি যে কথাগুলো বললেন আমাদের বক্তব্য এর সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই এ বিষয়ে আপনার সাথে আমরা সুন্নী আলেমরা বসতে চাই। তখন তিনি তার অফিসে যেতে বললেন। এরপর আমরা গত ১০/১২/২০১৫খ্রিঃ তারিখে মাওঃ আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল-কাদেরীর নেতৃত্বে মাওঃ মোহাম্মদ আলী নক্শবন্দী, হাফেজ মাওঃ জুনায়েদ ও মাওঃ গাজী মোঃ আঃ রাহীম বড় মসজিদের খতিব মুফতি আঃ রউফের অফিসে যাই। সেখানে তাঁর সাথে নানা কথোপকথনের পর উভয় পক্ষের ৫ জন করে আলেম ১২/১২/২০১৫খ্রিঃ তারিখে তাঁর (মুফতি আঃ রউফের) অফিসে বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর মুফতি আঃ রউফের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা বসবেন না বলে জানিয়ে দেন। ১২ ডিসেম্বর সকালে তার সাথে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে তিনি একই কথা জানান। তখন আমরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আঃ রশিদ মজুমদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করি। আমরা ওইদিন ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জে সুন্নী মহাসমাবেশের ঘোষণা দেই। বিষয়টি জানতে পেরে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ১৩ ডিসেম্বর উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসার কথা আমাদেরকে জানান। ১৩ ডিসেম্বর যথাসময়ে আমরা সুন্নী আলেমগণ থানায় উপস্থিত হলেও বড় মসজিদের ইমাম আঃ রউফ আসেননি। এসেছেন হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের সাবেক ইমাম হাফেজ রফিক আহমদসহ মুজাহিদ কমিটির কয়েকজন। তারা তখন বলেন, আমরা ওইসব বিষয় নিয়ে আসিনি, আমরা এসেছি ১৪ ডিসেম্বর বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে আমাদের চরমোনাইর পীরসাহেবের মাহফিল হবে, সেটি যাতে সুন্দরভাবে হয়, আর কাছাকাছি স্থানে একই সময়ে সুন্নী সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে কথা বলার জন্যে। তখন প্রশাসনের কর্মকর্তাগণসহ উভয় পক্ষের কথোপকথনের পর শর্ত সাপেক্ষে আমরা ১৪ ডিসেম্বরের সুন্নী সমাবেশ স্থগিত করি।
    একই সাথে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিসে উভয় পক্ষের ৫ জন করে আলেমদের নিয়ে বসার। থানায় ১৩ ডিসেম্বরের বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং এএসপি সার্কেলও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দেখা গেলো যে, ১৮ ডিসেম্বর আমরা সুন্নী আলেমরা যথাসময়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিসে হাজির হলেও মুফতি আঃ রউফসহ ওহাবী-কওমী আলেমরা আসেননি। সেদিন আমি মাওঃ আবু সুফিয়ান ছাড়াও স্বনামধন্য আলেম মুফতি আঃ রব আল কাদেরী, মুফতি রুহুল আমিন মানছুরি, মুফতি সাইদুল ইসলাম মোনাজেরী, আল্লামা হুজ্জাতুল্লাহ নক্শবন্দী মোজাদ্দেদী, আল্লামা আবুল হাশেম শাহ্ মিয়াজী, আল্লামা মোহাম্মদ আলী নক্শবন্দীসহ আরো অনেক আলেম উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শাহ্ আলমও উপস্থিত ছিলেন। অবশেষে সেদিনও প্রতিপক্ষ না আসায় সে বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আঃ রশিদ মজুমদার পুনরায় ১২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে উভয় পক্ষের সর্বোচ্চ ৭ জন করে আলেম তর্কিত ওইসব বিষয় নিয়ে বসার সিদ্ধান্ত দেন। আর এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উভয় পক্ষকে চিঠি দেবেন বলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান। অবশেষে (১২/০১/২০১৬খ্রিঃ) বৈঠকটিও হলো না। নানা অযৌক্তিক অজুহাত দেখিয়ে প্রশাসন থেকে বৈঠক না করার বিষয়টি আমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চেয়েছি ওহাবী-কওমীরা ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যে মনগড়া ফতোয়াবাজি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে আসছে, তা নিরসনের জন্যে উভয় পক্ষের আলেমরা বসে সমাধান করা। কিন্তু তারা সুন্নী আলেমদের মুখোমুখি না হয়ে মোনাফেকদের মতো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বার বার পিছু হটে। তারা বাহাসে না এসে মোনাফিক কাপুরুষের মতো গোপনে গোপনে লিফলেট ছাড়ে। এসব করে তারা সমাজে বিতর্ক ও মতানৈক্য জিইয়ে রেখে মুসলমানদের বিভক্ত করে ইহুদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ভবিষ্যতে এসব বিষয় নিয়ে সমাজে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এর জন্যে দায়ী থাকবেন হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের খতিব মুফতি আঃ রউফসহ তার মতবাদে বিশ্বাসী ওহাবী আলেমরা। একইভাবে দায়ী থাকবেন নেপথ্যে যারা তাদেরকে সহযোগিতা করছেন। তাদের বিচার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম।

    সাংবাদিক বন্ধুগণ,
    পরিশেষে আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাগণের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনারা উভয় পক্ষের আলেমদের নিয়ে বসে ধর্মীয় বিভেদপূর্ণ বিষয়গুলোর সঠিক সমাধানে উদ্যোগী হোন। এর প্রতিদান আপনারা আল্লাহ ও তাঁর হাবীবের পক্ষ থেকে পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও অনেকে বক্তব্য রাখেন।