হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি:সচিবসহ ১৪০জনের বিরুদ্ধে মামলা

    0
    496

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩আগস্ট,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে হাওরের একমাত্র ফসল ডুবে জেলাব্যাপী দুর্যোগ নেমে আসে। হাওরের হাজার কোটি টাকার ফসলহানির ঘটনায় এ মামলা করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। একই ঘটনায় সুনামগঞ্জবাসীকে নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান করায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালকেও আসামী করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র ১৫ কর্মকর্তা, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের ৪৬ জন ঠিকাদার এবং প্রকল্প বাস্তায়ন কমিটির (পিআইসি) ৭৮জনসহ এই মামলায় ১৪০জনকে আসামী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুজিবুর রহমানের আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল হক বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে এ ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগে ৬১জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    আদালতের বিচারক সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় সচিব ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। সচিবের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে দন্ড-বিধির ৫০৫ (এ) ধারার অভিযোগ। এই ধারায় উল্লেখ আছে, ‘কথা ইত্যাদি কর্তৃক অনিষ্টকর কার্য।’

    জানা যায়, ক্রিমিনাল ল’এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮’এর ৪ (২) বিধি অনুযায়ী দায়ের করা নালিশ মামলায় বাঁধের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩৯ টি পিআইসি’র সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, পাউবো’র সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাইসহ ১৫ জন পাউবো কর্মকর্তা, ৪৬ জন ঠিকাদার এবং ৩৯ টি পিআইসি’র সভাপতি-সম্পাদককে মামলার আসামী করা হয়েছে।

    মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৬৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা, সেই সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (৫) ২ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পরিস্কার ভাবে পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে।

    মামলায় উল্লেখ করা সদর থানায় একই বিষয়ে দুদকের একটি মামলা রুজু থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ নতুন মামলা গ্রহণ না করায় আদালতের আশ্রয়ে তারা এই মামলা রুজু করছেন বলে জানানো হয়।

    এর আগে গত ২জুলাই হাওরে ফসলহানির ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পাউবোর ১৫ কর্মকর্তা ও ৪৬জন ঠিকাদারকে আসামি করে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমদ। ওই মামলায় পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দিন ও বাঁধের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

    দুদকের মামলায় পাউবো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, ঠিকাদারদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়। ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ঠিক সময়ে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করে কৃষকদের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ। আইনজীবীদের দায়ের করা মামলায় দুদকের দায়ের করা মামলার ৬১ আসামির সঙ্গে ত্রাণ সচিব এবং পিআইসির ৭৮ জনকে আসামি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। দায়ের করা মামলার আসামির তালিকায় ১৪০ নম্বরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের নামও রয়েছে।

    মামলার বাদী আবদুল হক এজহারে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালকেও আসামী করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ত্রাণ সচিব ফসলহানির ঘটনার সময় গত ১৯ এপ্রিল সুনামগঞ্জে আসেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি বলেন, দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নামে একটা আইন আছে। এই আইনের ২২ ধারায় বলা আছে, কোনো এলাকার অর্ধেকের ওপরে জনসংখ্যা মারা গেলে ওই এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করতে হয়। না জেনে যারা এমন সস্তা দাবি জানায় তাদের কোনো প্রকার জ্ঞানই নেই।’ ত্রাণ সচিব অবজ্ঞার সুরে আরও বলেন, ‘কিসের দুর্গত এলাকা, একটি ছাগলও তো মারা যায়নি’-বাদী অভিযোগে এই মন্তব্যও উল্লেখ করেছেন।

    বাদী আবদুল হকের পক্ষে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. শহীদুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ শায়েখ আহমদসহ সমিতির শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

    হাওরে ফসলহানির পর গত ১১ এপ্রিল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সমিতির পক্ষ থেকে একটি কমিটিও করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

    মামলার বাদী মো. আবদুল হক বলেন, আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

    সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খায়রুল কবির রুমেন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য : পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ১৫৪টি হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে যায়। ২৭ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় এই ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এতে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০ জন কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাওরে ফসলহানির পর ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সর্বত্র।

    এর আগে গত ২রা জুলাই সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা নং ২ (জিআর ১৯৫/২০১৭) দায়ের করেন।

    মামলায় ১৫ জন কর্মকর্তার পাশাপাশি ৪৬ জন ঠিকাদারকে আসামী করা হয়। উভয় মামলার আসামীরা হচ্ছেন,টাঙ্গাইলের আকুর টাকুরপাড়ার সুর্য্য মঞ্জিল বাসভবনের বাসিন্দা নির্মাতা (ঠিকাদারী) প্রতিষ্ঠান মেসার্স গুডম্যান এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটর মোঃ আফজালুর রহমান মাহবুব,ফরিদপুরের গোয়াল চামট এলাকার ঠিকাদার খন্দকার শাহীন আহমেদ,সিলেটের মদিনা মার্কেট এলাকার পল্লবী ১২/১নং বাসভবনের বর্তমান বাসিন্দা দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কামরিবীচ গ্রামের ঠিকাদার,মেসার্স মাহিন কন্সষ্ট্রাকশনের প্র্পোাইটর মোঃ জিল্লুর রহমান,সিলেটের বাগবাড়ী এলাকার প্রমুক্ত ১৯৭ নং বাসভবনের বাসিন্দা ঠিকাদার সজীব রঞ্জন দাস,সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডের দিগন্ত ৩ নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স এলএন কন্সট্রাকশন এর প্রোপাইটর পার্থসারথী পূরকায়স্থ, সিলেটের জালালাবাদ এলাকার ১০/৪ নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স হান্নান এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর হান্নান আহমদ ওরফে মুরগী হান্নান, সুনামগঞ্জের স্টেশন রোডের বাসিন্দা মেসার্স নূর ট্রেডিং এর প্রোপাইটর খায়রুল হুদা চপল,পটুয়াখালী জেলার সবুজবাগ এলাকার ঠিকাদার কামাল হোসেন,সুনামগঞ্জের ষোলঘর আবাসিক এলাকার সুরমা ২৭নং বাসভবনের বাসিন্দা বিএনপি নেতা কাজী নাসিম উদ্দিন লালা,সাতক্ষীরা জেলার আমতলা কটিয়া এলাকার ঠিকাদার খন্দকার আলী হায়দার, মৌলভীবাজার জেলা সদরের পশ্চিম বড়হাট এলাকার ঠিকাদার মোঃ আকবর আলী,খুলনার ২নং লেন এর ১৮ গগনবাবু রোডের বাসিন্দা আমিন এন্ড কোম্পানীর প্রোপাইটর মোঃ রবিউল আলম,ঢাকার খিলগাও এলাকার ২৩০/বি নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স বোনাস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মোঃ আবুল হোসেন,সুনামগঞ্জ স্টেশন রোডের বাসিন্দা মেসার্স বসু নির্মাণ সংস্থার প্রোপাইটর শুভব্রত বসু,জামাইপাড়ার মোহনা ১১ নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স হাছান এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মোজাম্মেল হক মুনিম,ঢাকার ৯৯ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকার ৬নং ফ্লোরের করিম চেম্বারের মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স এন্ড শামীম আহসান এর প্রোপাইটর মোঃ বাচ্চু মিয়া,ময়মনসিংহের ১৯ অতুল চক্রবর্তী রোডের বাসিন্দা মেসার্স এম রহমানের প্রোপাইটর শেখ মোঃ মিজানুর রহমান,সুনামগঞ্জ স্টেশন রোডের বাসিন্দা মেসার্স মাহবুব এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর আবুল মহসীন মাহবুব, শহরের নতুনপাড়া আবাসিক এলাকার নিলয় ১৩ নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স মালতি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পী,সিলেটের শিবগঞ্জ এলাকার ২৮ ব্রাহ্মণপাড়া বাসভবনের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ জামিল ইকবাল, সিলেটের দাড়িয়াপাড়ার সি-২১নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স নিম্মি এন্ড মুমু কন্সট্রাকশনের প্রোপাইটর চিন্ময় কান্তি দাস, ঢাকার ১৫৪ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকার ৩য় তলার ৩০১-৩৩নং কক্ষের বাসিন্দা মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর  নিয়াজ আহমেদ খান, সুনামগঞ্জের নতুনপাড়া নিলয় ৬১নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স প্রীতি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মিলন কান্তি দে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর রবীন্দ্র স্মরণীর বাসিন্দা মেসার্স আর আর ট্রেডিং এর প্রোপাইটর খান মোঃ ওয়াহিদ রনি, সুনামগঞ্জের আরপিননগরের সৈকত ৩নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স শোয়েব এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মোঃ শোয়েব আহমদ,চট্টগ্রাম জেলার পাচলাইশ থানার ১নং রোডের হিলভিউ আবাসিক এলাকার ৫৫৩ নং প্লটের এএস টাউয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মেসার্স ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্সের প্রোপাইটর মোঃ ইউনুছ,হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার ঠিকাদার মোঃ আব্দুল কাইয়্যুম,সুনামগঞ্জ পৌরসভার নতুনপাড়া আবাসিক এলাকার ঠিকাদার মোঃ আতিকুর রহমান,রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার কোর্ট এলাকার ঠিকাদার মোঃ গোলাম সারোয়ার,মৌলভীবাজার জেলা সদরের কোর্টবাড়ী আজাদাবাদ বাসভবনের বাসিন্দা  মোঃ কামরুজ্জামান কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর মোঃ খাইরুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আগলা সদরপুর এলাকার মচাইনগর গ্রামের ঠিকাদার মোঃ মফিজুল হক,ঢাকার হাতিরপুল সোনারগাও এলাকার ইস্টার্ণ প্লাজার ৮ম তলার ২১-২৪নং কক্ষের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ মোখলেছুর রহমান,সুনামগঞ্জ পৌরসভার উকিলপাড়া আবাসিক এলাকার ঠিকাদার মোঃ নুরুল হক, বড়পাড়ার ঠিকাদার রেনূ মিয়া,চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঠিকাদার মোঃ শাহরিন হক মালিক,সিলেটের শাহজালাল উপশহরের মেইন রোডের মাল্টিপ্লান শাহজালাল সিটির হিজল ৭/বি নং বাসভবনের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ শামসুর রহমান বাবুল,কুমিল্লা জেলা সদরের হাউজিং এস্টেট সেকশন ২ এর ৩নং প্লটের বাসিন্দা মেসার্স ম্যাম কন্সট্রাকশন এর প্রোপাইটর আব্দুল মান্নান,সিলেটের মজুমদারী ১৩১নং মজুমদার বাড়ীর বাসিন্দা ঠিকাদার মোকসুদ আহমদ, ঢাকার  মতিঝিল মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলার ৩০১-৩০৩নং কক্ষের বাসিন্দা মেসার্স নুনা ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর মোঃ সাইদুল হক,সিলেটের রায়নগর দর্জিবন্ধ এলাকার বসুন্দরা ১২৩/৬নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স রাজেন কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর মোঃ মাহতাব চৌধুরী, ঢাকার  ১৫৪ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকার ওয়াপদা মসজিদ মার্কেটের ১০৮নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স এসএ-এসআই প্রাঃ লিমিটেড এর প্রোপাইটর কাজী হাসিনা আফরোজ, সাতক্ষীরা পৌরসভার পশ্চিম ইটাগছার বাসিন্দা ঠিকাদার শেখ আশরাফ উদ্দিন,চট্টগ্রামের চাদগাও আবাসিক এলাকার ১১নং রোডের এইচ ২৪৩ নং বাসভবনের বাসিন্দা সোহেল কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর লুৎফুল করিম,কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার গোমতি আবাসিক এলাকার ৫০/এ নং বাসভবনের বাসিন্দা সৈকত কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর হাজী মোঃ কেফায়েতুল্লাহ, ঢাকার মতিঝিল  ৮৬ আরামবাগ আবাসিক এলাকার খন্দকার ভবনের ৩য় তলার বাসিন্দা টেকবে ইন্টারন্যাশনাল এর প্রোপাইটর হুমায়ুন কবির,সেগুন বাগিচা আবাসিক এলাকার ৮নং বাড়ী সারিকা টাওয়ারের মোহাম্মদ উল্লাহর পুত্র ঠিকাদারের সহযোগী মোঃ ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ। এছাড়াও পিআইসির সাথে জড়িত আসামীরা হচ্ছেন,তাহিরপুর উপজেলার ২৪৬ নং পিআইসির সভাপতি আব্দুল বাতেন ও সাধারন সম্পাদক রইছ উদ্দিন, ৯৫নং পিআইসির সভাপতি বিশ^জিৎ সরকার ও সাধারন সম্পাদক সরুফ মিয়া, ৮২ নং পিআইসির সভাপতি বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাজী সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহেল মিয়া,জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১০৮ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ মনসুর নূর চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক প্রবীর দাস,১১৩ নং পিআইসির সভাপতি জগন্নাথ বিশ্বাস ও সাধারন সম্পাদক মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান,১১৪ নং পিআইসির সভাপতি ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহীম, ১১৫ নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার আব্দুল হেকিম ও সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান, ১১৬ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার নেছার আহম্মদ ও সাধারন সম্পাদক তহুর মিয়া,শাল্লা উপজেলার ২০৫নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার নিখিল চন্দ্র দাস ও সাধারন সম্পাদক রনদা প্রসাদ দাস, ২০০ নং পিআইসির সভাপতি হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সুব্রত সরকার,সাধারন সম্পাদক পান্ডব দাস,২১০ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার বশির আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক রমাকান্ত তালুকদার,২১১ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার আবুল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক দিপক চন্দ্র সরকার,দিরাই উপজেলার ১৬৫ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ শাহাব উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক তোবা মিয়া, ১৪২ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ লাল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক আইদ উল্লাহ, ১৪৮ নং পিআইসির সভাপতি তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ শেখ ফরিদ ও সাধারন সম্পাদক আহমদ চৌধুরী, ১৬৮নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার প্রদীপ ভৌমিক ও সাধারন সম্পাদক স্বপন মজুমদার, ১৮২ নং পিআইসির সভাপতি রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সুত্রধর,জামালগঞ্জ উপজেলার ১২৩ নং পিআইসির সভাপতি বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মনু মিয়া ও সাধারন সম্পাদক সত্যজিৎ তালুকদার, ১২১ নং পিআইসির সভাপতি বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম চন্দ্র তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক  অখিল সরকার, ১২৪ নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার সুফিয়ান ও সাধারন সম্পাদক  সসীম তালুকদার, ১২৬ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার আব্দূল হাশিম ও সাধারন সম্পাদক  আতাবুর রহমান,ধর্মপাশা উপজেলার ৩৮ নং পিআইসির সভাপতি পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফেরদৌসুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ রিপন মিয়া, ৩৯ নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার আর্শাদ মিয়া ও সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ৪১নং পিআইসির সভাপতি জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ খালেদুজ্জামান তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, ৪৩নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার ওয়াসিল আহম্মদ ও সাধারন সম্পাদক জজ মিয়া, ৪৪ নং পিআইসির সভাপতি চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাকিরুল আজাদ মান্না ও আব্দুল হাসান পারুল, ৪৫ নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার দুলাল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক পারভেজ আহমদ,৪৬ নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার আনিসুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান রোকন, ৪৮ নং পিআইসির সভাপতি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মজনু মিয়া ও হোসেন আলী,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৫৮ নং পিআইসির সভাপতি জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক সোহেল তালুকদার, ৬১ নং পিআইসির সভাপতি পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ আছাদ মিয়া ও সাধারন সম্পাদক ইসকন আলীম, ৬২ নং পিআইসির সভাপতি পূর্ব বীরগাও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ দিদারুল হক দিদার ও সাদারন সম্পাদক দিলদার আহমদ দিলীপ, ৬৫ নং পিআইসির সভাপতি দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফরিদুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু খালেদ চৌধুরী,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯৭ নং পিআইসির সভাপতি লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মহিনূর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মন্নান, ৯৯ নং পিআইসির সভাপতি গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়জুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মন্নান, ১০০ নং পিআইসির সভাপতি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক জাহানারা বেগম,দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৩০ নং পিআইসির সভাপতি দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আবুল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক বশির উদ্দিন, ২৩১ নং পিআইসির সভাপতি পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মালেক ও ফতেকুল ইসলাম এবং জগন্নাথপুর উপজেলার ২নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ সুজাত মিয়া ও সাধারন সম্পাদক ছুরত আলী প্রমুখ।