হাই-স্কুল নির্মানঃজেলা প্রশাসকসহ ৪লন্ডন প্রবাসীর নামে মামলা

    0
    235

    নবীগঞ্জে “বিয়াম ল্যাবরেটরী” হাই স্কুল নির্মানঃআসামীদের কারন দর্শানোর জন্য সমন জারি

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬জুলাই,মতিউর রহমান মুন্না:নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে “বিয়াম ল্যাবরেটরী” হাই স্কুল নির্মান নিয়ে দখলদার মালিক ও নির্মানকারীগন দুটি-পক্ষ আবারো মুখামুখি ।  আদালতে বিয়াম স্কুল নির্মানে স্থগিতাদেশ  থাকা সত্বেও এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করায় গত রবিবার আদালতে হবিগঞ্জ জেলা প্রসাশকসহ ৪জন লন্ডন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবিগঞ্জ যুন্ম জজ আদালতে হয়েছে। আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর জন্য সমন জারি করেছেন।

    মামলায় আসামী করা হয়েছে হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউ কে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রভাষক আব্দুল হান্নান, সাবেক সভাপতি মঈনুল আমিন বুলবুল, ও কামরুল হাসান চুনু, এবং বর্তমান সভাপতি ফয়জুর রহমান চৌধুরীকে।

    জানাযায়, আউশকান্দি র.প.উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে মাত্র ১০০ গজ দুরে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের সন্নিনিকটে মিঠাপুর মৌজার সরকারী খাস খতিয়ানের ৭০শতক অকৃষি খাস ভূমির মালিকানা দাবি হবিগঞ্জ আদালতে পার্শ্ববতী দেওতৈল ও মিঠাপুর গ্রামের কয়েকজন সত্ব মামলা করেন। কিন্তু আদালতে মামলা থাকা সত্বেও কয়েকজন লন্ডন প্রবাসীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি আবেদন ভূমি মন্ত্রনালয়ে পাঠালে গত ৬মে “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল” স্থাপনের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় । ঐ প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ব্যবস্থাপনা ও বন্তোবস্ত নীতিমালা-১৯৯৫ এর৩০(গ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক প্রস্তাব অনুমোদনের তারিখের পূর্ববর্তী ১২মাসের একই শ্রেনীর জমি ক্রয়-বিক্রয় দলিলের গড় মূল্যেও ভিত্তিতে নির্ধারিত মূল্যের ১০% হারে সেলামি ধার্য ও আদায় পূর্বক “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল”নবীগঞ্জ শাখার অনূকুলে শর্তে দীর্ঘ মেয়াদি বন্তোবস্ত প্রদানে সরকার সিন্ধান্ত গ্রহন করেছে।

    এই প্রজ্ঞাপন জারি পরে গত ১৭ জুন হবিগঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন কয়েকজন লন্ডনী কে নিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৭জুন ভূমির মালিক দাবিদার সত্ব মামলার বাদী হাজী মসুদ মিয়া গংরা আদালতে নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। ১৭ জুনই হবিগঞ্জ যুন্ম ১ম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ মামলা বিবাদী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কেন নতুন অবস্থায় বন্দোবস্ত না দেন সেই স্থগিতাদেশ দেন। আদালত ঐ সংবাদ নোটিশে বিরোধীয় জায়গায় স্থগিতাদেশ রয়েছে বলে বিবাদীদের জানান।

    কিন্তু এ আদেশ থাকা সত্বেও নির্মানকারীরা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন,স্কুল নির্মানের পায়তারা, স্কুলের পরিচালনা কমিটি গঠন, হঠাৎ করে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের খবর এলাকায় প্রকাশ হলে এলাকার সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

    এ ব্যাপারে সত্ব মামলার বাদী হাজী মসুদ মিয়া গংরা জানান, আমাদের আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বিবাদী পক্ষ জোরপূর্বক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে। আসামীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। তারা আদালতের নির্দেশ  অমান্য করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করি।