হাইয়ানের আঘাতে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনঃশতাধিক মৃত্যু

    0
    227

    আমার সিলেট  24 ডটকম,০৯নভেম্বরঃ প্রলয়ংকারি ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ফিলিপাইনের বিভিন্ন এলাকা । এ ঘুর্নিঝড়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে জানা যায় । গতকাল শুক্রবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান আঘাত হানে। এটিকে ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে  অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মনে করা হচ্ছে হাইয়ানকে । আজ শনিবার দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ কথা জানানো হয়।গণমাধ্যম জানায় গতকাল শুক্রবার ভোরে হাইয়ান যখন আঘাত হানে তখন এর গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩৭৯ কিলোমিটার। টাইফুনের কারণে কোথাও কোথাও প্রায় ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকে অনেক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশের বিদ্যুৎও যোগাযোগ-ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
    আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আরো জানায় দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঝড়ের কারণে ১কোটি ২০লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগেই অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এদিকে হাইয়ানের আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্যাকলোবান শহর। হাইয়ান দিক পরিবর্তন করে ভিয়েতনামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সেটি এখন দুর্বল। ফিলিপাইনের বেসরকারি বিমান উড্ডয়ন কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন জন এন্ড্রুর উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যম জানায়, ট্যাকলোবান শহরের বিভিন্ন স্থানে ও রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।  টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ভবন ধসে পড়ে এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হয়।গণমাধ্যম  আরো জানায়, বিভিন্ন টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায় হাইয়ানের   আঘাত হানার পরই ট্যাকলোবান শহরটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। টাইফুনের কারণে বিমানবন্দর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলো ওই শহরটিতে পৌঁছাতে পারছেন না। বিমানবন্দরটিতে শুধুমাত্র জরুরি সামরিক বিমান চলাচল করছে।
    ফিলিপাইন সরকার টাইফুন হাইয়ানের পূর্বাভাস পেয়ে ঝুঁকি প্রবণ এলাকা দ্রুত খালি করার উদ্যোগ নেয়।কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো এক কোটির বেশি মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। ঝুঁকি এড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতাল এবং নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের সার্বক্ষনিক বহাল রাখা হয়েছে। পরিবেশ এবং ভূতত্ববিদরা আগেই  হুঁশিয়ার করেছিলেন যে হাইয়ান ২০১২ সালে আঘাত হানা ঝড় বোফার মতই শক্তিশালী হতে পারে। বোফার আঘাতে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল সে দিন।