হবিগঞ্জ মাধবপুরে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গ্রুপে সংঘর্ষঃআহত-২০

    0
    229

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জানুয়ারীঃ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সড়ক পরিবহন লীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মহাসড়ক অবরোধ, ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
    বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় মাধবপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী (৩২), তার ভাই উসমান মিয়া (৪০), উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনির মিয়া (২৫), পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বাবা দারু পাঠান (৫০), পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা ফকির জাবেদ (৩০), সাদ্দাম হোসেন (২৫), জামাল মিয়া (৪৫), সফিলউদ্দিন (৫৫), শাহীন মিয়া (১৭), শাহ আলম ভূঁইয়া (২৬), কবির মিয়া (৩৬) ও পথচারী জুয়েল মিয়াসহ (৪০) কমপক্ষে ২০ জন।
    আহতদের মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা ফকির জাবেদ ও সাদ্দামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মাধবপুর বাজারের প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের খাস জায়গা দখল করতে যায়।

    অপরদিকে ওই জায়গা নিজেদের দখলীয় দাবি করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠানের নেতৃত্বাধীন কৃষ্ণনগর বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতাকর্মীরা বাধা দেয়।

    এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে বিষয়টি পুলিশ মাধবপুর পৌর মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহাকে আপসের দায়িত্ব দেয়।

    কিন্তু বিষয়টি নিষ্পতি হওয়ার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    মাধবপুর থানার (ওসি) মোল্লা মুনির হোসেনের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।