হবিগঞ্জে হাত-পা বাধা পায়ুপথে খুৃঁটা ঢুকানো আহত ব্যক্তি ওসমানী মেডিক্যালে

0
546
হবিগঞ্জে হাত-পা বাধা পায়ুপথে খুৃঁটা ঢুকানো আহত ব্যক্তি ওসমানী মেডিক্যালে
এখন প্রশ্ন সবার কাছে কে বা কারা এমন গর্হিত ও অমানবিক নির্জাতন করেছে ?

এস এম সুলতান খান চুনারুঘাট হবিগঞ্জ: হাত-পা বাঁধা ও পায়ুপথে খুটা ঢুকানো আঃ হক (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জনতা। এখন প্রশ্ন সবার কাছে কে বা কারা এমন গর্হিত ও অমানবিক নির্জাতন করেছে ? উপজেলা জুড়ে এমন প্রশ্নে সরব সাধারণ জনতার।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটায় ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম পাঁচগাথিয়া গ্রামে। আঃ হক ওই গ্রামের হাফেজ আলীর পুত্র।
আঃ হকের স্বজনরা জানান, কৃষি সেচ সংক্রান্ত কারণে আগের রাত আনুমানিক ১২টায় কোদাল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আঃ হক। রাতে আর বাড়ি ফিরেননি। বাড়ি না ফেরা ও ফোন বন্ধ থাকার জন্য ভোর থেকে তাকে খুঁজতে শুরু করেন স্বজনরা। খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সকালে আবাদি জমির নালার পাশে কোদাল ও কোদালের পাশে রক্ত দেখতে পান তারা।
তখন পার্শ্ববর্তী মানিক মিয়ার কবরস্থানে ঝোপের আড়ালে হাত-পা, লিঙ্গ বাঁধা ও পায়ুপথে কাঠের খুঁটি ঢুকানো অবস্থায় আঃ হকের অজ্ঞান অচেতন দেহ পান তারা। দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে ছিলো। বিলম্ব না করে তাকে প্রথমে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল সর্বশেষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উদ্ধারকালে সঙ্গে থাকা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কাছম আলী বলেন, আঃ হককে রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সংবাদে তিনিও খুঁজতে বের হন।
বিষয়টি চুনারুঘাট থানাকে অবগত করলে ওসি মোঃ আলী আশরাফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রশি এবং খুটা উদ্ধার করেন।
আঃ হকের বড় ভাই ফজলুল হক বলেন, তার জানা মতে আঃ হকের মেয়ের জামাই এমরানের সাথে মামলা মোকদ্দমা ও দ্বিতীয় স্ত্রী মালেকার সাথে মনোমালিন্য ছাড়া আর কোনো ঝগড়া বিবাদ কারোর সাথে নেই।
বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, আলামত সংগ্রহ করেছে, আহতকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।