হবিগঞ্জে স’মিল শ্রমিক সংঘের মজুরি ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি

    0
    230

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ফেব্রুয়ারী স’মিল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকর এবং ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করার দাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ শহরের কালিগাছ তলায় স’মিল শ্রমিকরা সভা করেছে। স’মিল শ্রমিক সংঘ হবিগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রজত বিশ্বাস এবং বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন স’মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট বিভাগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন।

    সভায় বক্তব্য রাখেন স’মিল শ্রমিক সংঘ হবিগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক সাহেদ মিয়া, বাহুবল উপজেলা কমিটির আহবায়ক ফারুক মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি শাফিক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আনকার মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নেতা প্রদীপ সরকার, শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার আল আমিন, চুনারুঘাট উপজেলা শাখার নেতা মাসুক মিয়া, সমছু মিয়া, জুয়েল আহমেদ, নূরুল ইসলাম, সিতার মিয়া, আবুল কালাম প্রমূখ।

    সভায় বক্তারা বলেন দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর সরকার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স’মিল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নি¤œতম মজুরির গেজেট প্রকাশ করেছেন। যদিও ঘোষিত মজুরি বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়, তারপরও স’মিল মালিকরা সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির চেয়ে আরও কম মজুরি দিচ্ছেন।

    শুধু তাই নয় স’মিল শ্রমিকরা দেশের প্রচিলত শ্রম আইনের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বক্তারা সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও কাজের পোষাক প্রদান, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করার দাবি জানান।

    এছাড়া সভায় সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের সাথে দালাল ভারত সরকারের সমন্বিত পরিকল্পনায় জাতীয় স্বার্থ বিরোধী ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট, করিডোর প্রদানের প্রতিবাদে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ ঘোষিত আশুগঞ্জের কেন্দ্রীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সকল উপজেলা থেকে প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।

    সভায় সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রত্যেক শ্রমিক স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের মালিক বরাবর লিখি আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া জেলা সম্মেলন করার লক্ষ্যে সকল উপজেলায় কমিটির গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।